তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সাথে হওয়া বৈঠক নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছে চীন। এর আগে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনকে নিউ ইয়র্কে স্বাগত জানানো হয়। এরপর তিনি ক্যালিফোর্নিয়াতে পৌঁছান, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৃহস্পতিবার ৬ এপ্রিল বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে সিমি উপত্যকার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন কেভিন ম্যাকার্থি ও সাই ইং–ওয়েন।
দুই রাজনীতিবিদ রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্সিয়াল কক্ষে প্রবেশ করার পর বেইজিংপন্থীরা ব্যানার টেনে একটি ছোট বিমান নিয়ে উড়ে গিয়েছিল, যেখানে লেখা ছিল, ‘এক চীন! তাইওয়ান চীনের অংশ!’
বৈঠক শেষে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেন, তাইওয়ানের গণতন্ত্র ‘অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন’। তিনি বলেন যে দ্বীপটি ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞ’।
বৈঠকে ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ‘আমেরিকার অন্যতম বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। সেই সাথে তিনি গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাকার্থি বলেন, তাইওয়ানকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে তাকে স্বাগত জানানোয় ম্যাকার্থিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাই ইং–ওয়েন বলেন, ‘আমি আনন্দিত বোধ করছি।’ যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে সাই ইং–ওয়েন আরও বলেন, ‘আমরা যখন একসাথে থাকি তখন আমরা আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠি।’
অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের নিন্দা করে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের মধ্যে আলাপ আলোচনা ‘গুরুতরভাবে ভুল এবং বিপজ্জনক।
যে সময়টায় তিনি সফরে করছেন, তাকে মোটেই কাকতালীয় বলা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বিরুদ্ধে গভীর এবং ক্রমবর্ধমান বৈরিতা দেখা যাচ্ছে। আর এ কারণে তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি প্রকাশ্যে সমর্থন দেখাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে যেন রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে।