কাতার বিশ্বকাপের লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বে জালিয়াতির মাধ্যমে এক ফুটবলারকে ইকুয়েডর খেলিয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিল চিলি। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা অবশ্য চিলির সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। ফলে বিশ্বকাপে খেলতে ইকুয়েডরের আর কোনো বাধা রইল না।
ফিফার এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বাগতিক কাতার, সেনেগাল এবং নেদারল্যান্ডসের সাথে গ্রুপ এ-তে ইকুয়েডরের জায়গা নিশ্চিত করেছে।
চিলি ফুটবল ফেডারেশন (এফএফসি) ফিফার কাছে দায়ের করা অভিযোগে বলেছিল, ইকুয়েডরের হয়ে বাছাইপর্বে আট ম্যাচ খেলা বায়রন ক্যাস্তিলো নাকি আসলে কলম্বিয়ান ছিলেন এবং তার বয়স জাল করেছিলেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ফিফার গভর্নিং বডি বলেছে, সকল দিক বিবেচনা করে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ‘কার্যক্রম বন্ধের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমান সিদ্ধান্তটি ফিফা আপিল কমিটির সামনে আপিল সাপেক্ষে থাকবে।
ইকুয়েডর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ফ্রান্সিসকো এগাস বলেছেন, ফিফার সিদ্ধান্তের অর্থ হল ‘ক্রীড়ায় ন্যায়বিচার হয়েছে।’ এটা উদযাপন করছি কারণ আমরা অপমানিত বোধ করেছিলাম। আমরা চিলি ফেডারেশনের গণমাধ্যমের অপপ্রচারে পদদলিত হয়েছি এমন অনুভব করেছি।
চিলি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পাবলো মিলাদ জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তারা আপিল করবে এবং মামলাটি কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টে (সিএএস) নিয়ে যাবে।
মিলাদ বলেন, আমরা ১-০ গোলে হেরেছি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ বাকি আছে। শক্তিশালী প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আশ্চর্যজনকভাবে ফিফার রায় আমাদের পক্ষে হয়নি। আমরা যুক্তির জন্য অপেক্ষা করব এবং আপিল করব।
এফএফসির অভিযোগে বলা হয়েছিল, ইকুয়েডরের বার্সেলোনা স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলা বায়রন ক্যাস্তিলো একটি ভুয়া জন্ম সনদ এবং জাতীয়তা ব্যবহার করেছেন। অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে যে ২৩ বর্ষী ক্যাস্তিলোর কলম্বিয়ার তুমাকো শহরে ১৯৯৫ সালের ২৫ জুলাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৮ সালের ১০ নভেম্বর কুয়েডরের জেনারেল ভিলামিল প্লেয়াস শহরে জন্মগ্রহণ করেননি।
চিলি অভিযোগ করেছিল, ইকুয়েডর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে জানতো যে ক্যাস্তিলো কলম্বিয়ান ছিল। ফুটবলের বিশ্ব চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। খেলোয়াড়দের নিবন্ধনে গুরুতর এবং ইচ্ছাকৃত অনিয়মের চর্চা মেনে নেয়া যায় না। মাঠে ও মাঠের বাইরে অবশ্যই ফেয়ার প্লে হতে হবে।
ক্যাস্তিলোকে ২০২১ সালে ইকুয়েডর দলে নেয়ার আগে বছর ধরে দেশটির কর্তৃপক্ষ এবং ফেডারেশন তার জাতীয়তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেছিল।