বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর নতুন পরিসংখ্যান অনুসারে, কোভিড-১৯ মহামারী পর বিশ্বব্যাপী শিশুদের হাম এবং ডিপথেরিয়ার মতো মারাত্মক রোগের টিকাদানের প্রক্রিয়া পিছিয়ে পড়েছিল, যা ২০২২ সালে আবার পিছিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই টিকাদানের প্রক্রিয়া আবার থেমে গেছে। কারণ, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো বৃহৎ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলো বিভিন্ন শক্তিশালী দেশের চাপে পড়ে এই টিকাদান কর্মসূচিগুলোতে মনোনিবেশ করতে পারছে না।
২০২২ সালে ২০ দশমিক ৫ মিলিয়ন শিশু তাদের শৈশবের প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেয়নি। তবে ২০২১ সালে এই পরিসংখ্যান আরও বেশি ছিল, সেই বছর ২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন শিশু তাদের ভ্যাকসিন দেয়নি। ২০১৯ সালে ১৮ দশমিক ৪ মিলিয়ন শিশু তাদের টিকা থেকে বঞ্চিত ছিল। তিনটি টিকা ডোজ ডিপথেরিয়া, টিটেনাস এবং পেরটুসিস (হুপিং কাশি) এর উপর ভিত্তি করে ১৮৩টি দেশের পরিসংখ্যানটি করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, পরিসংখ্যানের হার উৎসাহজনক ছিল, তবে উদ্বেগ হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলোকে পিছনে ফেলে দেয়া হচ্ছে। যখন দেশ এবং অঞ্চলগুলো পিছিয়ে থাকবে, তখন সেখানকার শিশুরাও মূল্য পাবে না।
মহামারীতে এই টিকাদান কর্মসূচি ৭৩ দেশের মধ্যে ৩৪টি দেশ এবং অ্যাঙ্গোলা, সিরিয়ার মতো দেশগুলো সরে এসেছে। এই বিষয়ে আর কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফ জানিয়েছে, প্রাক-মহামারী পর্যায়ে ২৪টি দেশ আবার এই টিকা কর্মসূচির সাথে যুক্ত হয়।
ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফ আরও সতর্ক করেছে, হামের টিকা গুলো এখনও সক্রিয় হারে দেয়া হচ্ছে না। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী ২১ দশমিক ৯ মিলিয়ন শিশু তাদের হামের টিকার ডোজ হারিয়েছে। ১৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন তাদের দ্বিতীয় ডোজ হারিয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় এই সংখ্যা ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন বেশি। ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী হামের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।