জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)’র সকল প্রশাসনিক পদ থেকে জামায়াত-বিএনপিপন্থীদের অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে তালা লাগিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয় এ কর্মসূচি। অবরোধ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- সম্প্রতি ইতিহাস বিভাগে সম্পন্ন হওয়া ৩ জন শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড বাতিল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. সালাহউদ্দিনকে অব্যাহতি দিতে হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানালে নাকচ করে দেন নেতারা। পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।

এসময় উপাচার্য বলেন, ‘বর্তমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপির বিভিন্ন বিবৃতিতে তার অনুমতি ছাড়া নাম ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ছাড়া ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড যেহেতু সম্পন্ন হয়ে গেছে, তাই এটা সিন্ডিকেটে আলোচনা করতে হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী কোনো শক্তি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকতে পারে সে জন্য আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস অবরোধ করেছি। আমরা জেনেছি, বর্তমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের একাধিক বিবৃতিতে তার নাম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া ইতিহাস বিভাগে যেসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তাদের জামাত শিবিরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ইতিহাস বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিল ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অপসারণ করতে হবে।’
এবিষয়ে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘ইতিহাস বিভাগে যে ৩ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক পদ থেকে জামাত-বিএনপি পন্থীদের অব্যাহতি দেয়া হোক। এজন্য আজকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে।’