লাল-সবুজ মেয়েদের জাতীয় দল গোল উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি নিজেদের জাল অক্ষত রাখাকেও ধারাবাহিক বানিয়ে ফেলেছে। সাফে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নদের আক্রমণ ও মধ্যমাঠের পাশাপাশি রক্ষণও ছিল বেশ শক্তিশালী।
গোলরক্ষক রূপনা চাকমার সামনে রক্ষণে দুর্ভেদ্য হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছেন যারা, আঁখি খাতুন তাদের অন্যতম। আক্রমণ গড়ে তুলে স্ট্রাইকারদের বল যোগান দেয়ার পাশাপাশি প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বিপজ্জনক সীমানায় বল নিয়ে ঢোকার আগেই তাদের রুখে দেয়ার কাজটা দারুণভাবে সামলেছেন।
১৯ বর্ষী সেন্টার ব্যাক আঁখি দল হয়ে ওঠার প্রকৃত কারণটি নিজ মুখেই বললেন। বুধবার চ্যানেল আইতে ফুটবলের বীরকন্যাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি সাফল্যের পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা স্মরণ করেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন। এদিনই চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠানে আঁখি বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা শুরু করেছিলেন বলেই আমরা আজ এ জায়গায় আছি।’
বঙ্গমাতা টুর্নামেন্ট হল মেয়েদের আন্তঃস্কুল ফুটবল আসর। যেখানে অংশ নেয় দেশের হাজারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফুটবল দল। নারী ফুটবলার তুলে আনার অন্যতম এ আয়োজনের কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন আঁখি।
চার-পাঁচ বছর আগে হংকংয়ে হওয়া জকি কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। সেবার দল দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চ্যানেল আই কার্যালয়ে এসেছিল। সেই স্মৃতি আঁখির কাছে এখনো টাটকা। বললেন, ‘যখন আমরা অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, চ্যানেল আইতে এসেছিলাম।’
সাফল্য অর্জনে কঠোর পরিশ্রম ও নিয়মানুবর্তিতার ভেতর দিয়ে দলের সবাইকে যেতে হয়েছে, জানালেন আঁখি- ‘যখন কেউ ঘুম থেকে উঠত না, তখন আমরা অনুশীলনে যেতাম। দেশবাসীকে ভালো ফল দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। দেশে আসার পর দেশবাসীর এতো সম্মান পাবো, আশা করি নাই।’
‘ভালো একটা ফল দিতে পেরে আমরা সবাই আনন্দিত। দেশবাসী এতো ভালোবাসা দেবেন, এতো সম্মান দেবেন, এটা আমাদের জানা ছিল না। আমরা এটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।’