চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

অবশেষে দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘চন্দ্রাবতী কথা’

দেশের চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলো ‘বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড’ এর নিবেদনে এন রাশেদ চৌধুরীর প্রথম সিনেমা ‘চন্দ্রাবতী কথা’

অবশেষে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলো বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী নারী কবির জীবন নিয়ে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘চন্দ্রাবতী কথা’।

শুক্রবার দেশের চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড’ এর নিবেদনে এন রাশেদ চৌধুরীর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য এই সিনেমাটি!

সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘চন্দ্রাবতী কথা’ দর্শক দেখতে পারবেন স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা সিটি), স্টার সিনেপ্লেক্স (সীমান্ত স্কয়ার), যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস এবং সিনেস্কোপ (নারায়ণগঞ্জ) এ।

সম্প্রতি স্টার সিনেপ্লেক্স এ হয়ে গেলো ‘চন্দ্রাবতী কথা’র প্রিমিয়ার শো

এরমধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্স এর বসুন্ধরা সিটিতে রয়েছে দুটি শো। একটি দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে এবং অন্যটি রাত ৮টায়। এছাড়া সীমান্ত স্কয়ারে প্রতিদিন দুপুর সাড়ে ১২টা এবং বিকেল পৌনে ৬টায় সিনেমাটি দেখতে পারবেন দর্শক।

বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি বলা হয় চন্দ্রাবতীকে। মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা এবং রামায়ণ তার অন্যতম সৃষ্টি। তবে তার সৃষ্টির চেয়ে ঢের বেশি নাটকীয় এবং একইসঙ্গে বিয়োগান্তক তার নিজের জীবন।

ষোড়শ শতকের অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী এই নারীকে নিয়ে নির্মিত ‘চন্দ্রাবতী কথা’ দেখতে দর্শক আগ্রহী হবেন, এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিনেমাটি চন্দ্রাবতীর সারাজীবনের একটি গল্প, তাই এর পরিধিও বড়। চন্দ্রাবতীর জীবন দেখানোর সাথে সাথে সিনেমায় ওই সময়ের সামাজিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, ঘটনা এবং পারফর্মেন্স স্টাইলও উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী।

‘চন্দ্রাবতী কথা’র বিশেষ প্রদর্শনীতে কলাকুশলীদের সাথে নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী

চন্দ্রাবতীর জন্মস্থান কিশোরগঞ্জে রিয়েল লোকেশনেই ছবির পুরো শুট করা হয়েছে। ছবিতে গ্রামের সাধারণ মানুষেরাও অভিনয় করেছেন বলে জানান এন রাশেদ চৌধুরী। বিশেষ করে পালাকার বা বয়াতি-এরকম চরিত্রগুলোতে সেখানকার গ্রামের মানুষই অভিনয় করেছেন।

সেন্সর বোর্ডে প্রায় এক বছর সিনেমাটি আটকে থাকার পর চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ছাড়পত্র পায় এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’। এরআগে ২০১৯ এর নভেম্বরে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘চন্দ্রাবতী কথা’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পৃথিবীর বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শীত হয় সিনেমাটি।

‘চন্দ্রাবতী কথা’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী দোয়েল ম্যাশ এবং চন্দ্রাবতীর প্রেমিক জয়ানন্দের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ।

এছাড়া আরো অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মিতা রহমান, গাজী রাকায়েত, আরমান পারভেজ মুরাদ, নওশাবা আহমেদ, জয়িতা মহলানবিশ প্রমুখ।

ছবির সম্পাদনা ও শব্দ সংযোজনে ছিলেন যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সম্পাদক শঙ্খ ও শব্দগ্রাহক সুকান্ত মজুমদার। এর কালার কারেকশন ও পোস্ট এর অন্যান্য কাজ হয়েছে কলকাতার চেরীপিক্স এ। ছবির সংগীতায়জনে ছিলেন কলকাতার খ্যাতনামা লোকংগীত শিল্পী সাত্যকি ব্যানার্জী। ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমায় অনন্য এক বিচ্ছেদী ভাটিয়ালি গান গেয়েছেন স্থানীয় রামায়ণ-পালা শিল্পী শংকর।

সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ম্যানগ্রোভ পিকচারস ও বেঙ্গল ক্রিয়েসন্স-এর প্রযোজনায় ‘চন্দ্রাবতী কথা’ ছবির টিভি ও অনলাইন সত্ব চ্যানেল আইয়ের।