দেশের ১১টি জেলার ওপর দিয়ে ৩৬ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সংস্থাটি বলছে, আজ শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এতে বলা হয়েছে, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলাসহ মোট ১১টি জেলার ওপর দিয়ে আজ মৃদু (৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে।এ ছাড়া সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন: আগামী ৭২ ঘণ্টা ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আগামী ৭ ও ৮ এপ্রিল দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রী হ্রাস পেতে পারে। ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এ দিনগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। তাপমাত্রা থাকবে বেশি। গরমের অনুভূতি ও হাঁসফাঁস অবস্থা থাকবে।
এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের চারটি বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়েই মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে বর্তমানের আবহাওয়া অবস্থা আরও এক সপ্তাহ চলবে। এপ্রিলজুড়েই সারাদেশে তাপপ্রবাহ থাকবে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, রোজা প্রায় শেষের দিকে, যারা রোজা রাখছেন তারা যেন রাতে বেশি বেশি করে পানি খান। এই সময় শরীর থেকে অনেক বেশি ঘামের মাধ্যমে লবণ বের হয়ে যায়। শরীর থেকে লবণ বের হয়ে গেলে অবসাদ এবং ক্লান্তি মাথা ঘোরার মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রয়োজনে হালকা লবণ মিশ্রিত পানি কিংবা ওরস্যালাইন খাওয়া যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, এই সময়ে যারা বাইরে যাবেন তারা যেন সুতি ঢিলেঢালা, পাতলা কাপড় পরিধান করেন।