কাইলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুভসূচনা পেয়েছে পিএসজি।
মঙ্গলবার রাতে পার্ক ডে প্রিন্সেসে হওয়া ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচের অধিকাংশ সময় ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা আধিপত্য ধরে রেখেছিল। পিএসজি ১৫ শট নিয়েছিল, যার ভেতর ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল। তুরিনের বুড়িরা ১৩ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে রাখে।
পঞ্চম মিনিটেই নেইমার-এমবাপের দারুণ বোঝাপড়ায় পিএসজি লিড পায়। ডি বক্সের খানিকটা বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের দুই ফুটবলারের বাধা তোয়াক্কা না করে ডি-বক্সে বল বাড়ান নেইমার। দ্রুত গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া এমবাপে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান।
২২ মিনিটের মাথায় আশরাফ হাকিমির পাসে বল পেয়ে ডান পায়ের নিচু শটে আবারো গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে।
বিরতির পর ৫৩ মিনিটে ফিলিপ কস্টিকের কর্নার কিক থেকে বল নিয়ে হেডে নিশানাভেদ করে জুভেন্টাসের হয়ে ব্যবধান কমান মার্কিন মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককেনি।
এদিকে, ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে স্কটিশ ক্লাব সেল্টিককে তাদের ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিশন শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও ৫৬ মিনিটে এসে ডেডলক ভাঙেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। সতীর্থ ফেদেরিকো ভালভার্দে পাসে বল পেয়ে ডি বক্সে থাকা ভিনিসিয়াস ডান পায়ে লক্ষ্যভেদ করেন। চার মিনিট পর ডান পায়ের শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন লুকা মড্রিচ।
খেলার ৭৭ মিনিটে দানি কারভাহালের বাড়ানো বল আদায় করে বাঁ পায়ের ফিনিশিংয়ে লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন এডেন হ্যাজার্ড।
অপরদিকে, আর্লিং হালান্ডের জোড়া গোলের ম্যাচে সেভিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচের ২০ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের পাসে বল নিয়ে বাঁ পায়ে বল জালে পাঠিয়ে সিটিকে এগিয়ে দেন হালান্ড।
বিরতির পর ৫৮ মিনিটে পর্তুগিজ ডিফেন্ডার জোয়াও ক্যান্সেলোর কাছ থেকে বল নিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিল ফোডেন। নয় মিনিট পর ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান হালান্ড।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ক্যান্সেলোর কর্নার কিক থেকে বল পাওয়া পর্তুগিজ ডিফেন্ডার রুবেন ডিয়াস ডান পায়ে নিশানাভেদ করে সেভিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব ডায়নাম জাগরেবের কাছে ১-০ গোলে হেরে অঘটনের শিকার হয়েছে চেলসি। ১৩ মিনিটে ব্রুনো পেটকোভিচের দ্রুত বাড়ানো বল আদায় করে ডান পায়ের কিকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলের হয়ে লেফট উইঙ্গার মিসলাভ ওরসিচ।