চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আসিয়ানে জায়গা শক্তিশালী করাই লক্ষ্য: ছোটন

কমলাপুরের টার্ফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা বাঁধভাঙা আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত থাকার মাঝেই কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের দিকে আটকে গেল দৃষ্টি। খানিক দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন মেয়েদের অভিভাবকতুল্য কোচের সহধর্মিণী। ছোটনের চ্যাম্পিয়ন মেডেল গলায় পরে মিষ্টি হাসি দিচ্ছিল তার শিশু সন্তান।

অপরিচিত সাংবাদিকদের দেখে শিশুটি মোটেও ভড়কে যায়নি। বাবার কোলে চেপে আনন্দছটা তার চোখেমুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ কোচের কথা ধারনের সময় হাত বাড়িয়ে টিভির বুম ও মোবাইল ধরাতেই যেন তার খুশির অন্ত ছিল না।

জাতীয় থেকে বয়সভিত্তিক, সব পর্যায়েই মেয়েদের ফুটবলে অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে গেছেন ছোটন। একের পর এক সাফল্যের কারিগর তিনি। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে লাল-সবুজের দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জানালেন পরের লক্ষ্যের কথাও।

‘এখন আমাদের কাজ সাউথ এশিয়া থেকে আসিয়ান অঞ্চলে গিয়ে বেশি বেশি ম্যাচ খেলা এবং ওখানে নিজেদের জায়গা শক্তিশালী করা। ধারাবাহিকভাবে এখন আমাদের প্রত্যেকটা দলের অনুশীলন কঠোরভাবে চলছে। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা চলাকালীন সময়ে অনূর্ধ্ব-১৭ এবং জাতীয় দলের প্রস্তুতি ভালোভাবেই চলছে।’

প্রথমবারের মতো সাফের অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে বাংলাদেশ বস বললেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল মেয়েরা যদি স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে আর গতি ধরে রাখতে পারে, তাহলে গোলের সুযোগ আসবে। আমরা এই কদিন ফিনিশিং নিয়ে আলাপ করেছি। আজ ফিনিশিং ভালো হয়েছে।’

বারবার আক্রমণে ওঠার পরও স্বাগতিক দল পাচ্ছিল না গোলের দেখা। ম্যাচের ৪২ মিনিটে ভাঙে ডেডলক, প্রতিপক্ষ রক্ষণে বারবার কাঁপন ধরানো রিপার ডানপায়ের দূরপাল্লার ম্যাজিক শটে অতিথি গোলরক্ষক কবিতা পুরোপুরি পরাস্ত হন।

গোল পাওয়ার আগ পর্যন্ত দুশ্চিন্তা ছিল কিনা এমন প্রশ্নে ছোটনের জবাব, ‘টেনশন প্রতি মুহূর্তেই থাকে। শুরুর দিকে নেপাল মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলেছে। শেষ পর্যন্ত নেপাল লড়লেও আমাদের ফিটনেস লেভেলটা অনেক ভালো ছিল। আমাদের মেয়েরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এক ইঞ্চি ছাড় দেয়নি।’

শক্ত টার্ফে খেলোয়াড়দের একের পর এক চোটে পড়া ছিল টুর্নামেন্টের বেশ আলোচিত বিষয়। সংবাদ সম্মেলনে নেপাল ও ভুটানের কোচ এ নিয়ে কম কথা বলেননি। কারণ দুদলের পাঁচ ফুটবলার গুরুতর চোট পান। ছোটন অবশ্য এজন্য ফিটনেস থাকার বিষয়টিকেই সামনে আনলেন।

‘আমি যা অনুধাবন করতে পারি, ফুল ফিটনেস না নিয়ে এই মাঠে কেউ খেলতে আসলে ইনজুরির সমস্যা হবেই। আমাদের মেয়েরা এখানে প্রতিনিয়তই অনুশীলন করে। তাদের ফিটনেস ভালো, তাই তেমন একটা সমস্যায় আমরা পড়ি না।’