বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘সেন্ট্রাল কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে’র (সিসিএমএস) উদ্বোধনে প্রথম ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্মগুলোর একটি হিসেবে যোগ দিল দেশের র্শীষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী, ই-কর্মাস প্রতারণা রোধ করে ডিজিটাল বাংলাদেশকে র্স্মাট বাংলাদেশে রূপান্তর করার প্রচেষ্টা হিসেবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন) এর হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স পলিসি বাস্তবায়নে সিসিএমএস একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। একদম শুরু থেকে দেশের বৃহত্তম মার্কেটপ্লেস দারাজ সিসিএমএস এর সাথেই আছে। এজন্য আমরা দারাজকে ধন্যবাদ জানাই।
দারাজ বাংলাদেশ-কর্পোরেট এফেয়ারসের স্টেকহোল্ডার রিলেশনস হেড মো. সামসুল ইসলাম মাসুদ বলেন, দারাজ বরাবরই সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছে। ডিবিআইডি নীতিমালা তৈরির ক্ষেত্রেও প্রথম থেকেই দারাজের সমর্থন ছিল, এমনকি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হিসাবে দারাজ শুরুতেই নিবন্ধিত হয় যা দারাজের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে দৃশ্যমান। আমরা সব সময় নীতিমালা মেনে কাজ করার চেষ্টা করি, তাই ই-কমার্স প্রতারণা রোধ এবং মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সিসিএমএস এর অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থতি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার, বাংলাদেশ ব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের ডিরেক্টর মোহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার, এফবিসিসিআই ডিরেক্টর সৈয়দ আলমাস কবীর এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত দারাজ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। দারাজ বিশ্বের মানসম্পন্ন মার্কেটপ্লেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ১ লাখের বেশি সেলারের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি সেলারদের এ অঞ্চলের দ্রুত বর্ধনশীল ৫০ কোটি গ্রাহকের সাথে যুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে দারাজ। দারাজ এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি বাজারের সবচেয়ে কার্যকরী ও ডিজিটালাইজড লজিস্টিকস অবকাঠামো পরিচালনা করছে। দারাজের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ৫ কোটি ক্রেতা ও ব্যবসাকে সেবা প্রদান করা।