নৃত্য চর্চা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নৃত্যশৈলীর আয়োজনে সিলেটে হয়ে গেল বসন্ত উৎসব। শনিবার বিকেল ৩টায় সিলেট মহানগরের জালালাবাদ পার্কে বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশৈলীর উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমদ, সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ, প্রকৌশলী হাবীব আহসান, জালালাবাদ এসোসিয়েশন টরোন্ট কানাডার ট্রাস্টি মেম্বার দেবব্রত দে তমাল প্রমুখ।
সিলেট ও দেশের বিভিন্ন স্থানের ৮টি দলের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা নজর কাড়ে। তারআগে সংবর্ধনা দেয়া হয় নৃত্যশিল্পী ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহকারী পরিচালক (প্রোগ্রাম প্রোডাকশন- নৃত্য) জুয়েইরিয়াহ মৌলি, নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যকলা বিভাগের প্রভাষক (রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়) এস,এম, হাসান ইশতিয়াক ইমরান, নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার মো. আরিফুল ইসলাম আরোহী, নৃত্যশিল্পী ও ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মো. কামরুল হাসান সাব্বির এবং নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিচালক (আমরা ক জন শিল্পী গোষ্ঠী- বগুড়া) মো. মাহাবুব হাসান সোহাগকে। পরে তারা দলীয় ও একক নৃত্য পরিবেশন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এদিন মন্ত্রী সকলকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, রং, উৎসব, আমেজ ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আবহমান বাংলার চিরচেনা বৈশিষ্ট্য। এসব উৎসব অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজের বার্তা দেয় এবং মানুষের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্নত সমাজ বিনির্মাণে এসব উৎসবের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে যাবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।