সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে ২০২৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল জয়ীর নাম। চিকিৎসাশাস্ত্রে এবছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের বায়োকেমিস্ট কাটালিন কারিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী ড্রিউ উইসম্যান।
তারা দু’জন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ‘এমআরএনএ’ ভ্যাকসিনের বিকাশ নিয়ে গবেষণার জন্য এই পুরস্কার অর্জন করেন।
কাটালিন কারিকো
কাটালিন কারিকো ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরির সোলনোকে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে জীববিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী এবং ১৯৮২ সালে সেজেড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেজেডের হাঙ্গেরিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সে পোস্টডক্টরাল গবেষণা করেন। তারপর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে টেম্পল ইউনিভার্সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং বেথেসডা ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সে পোস্টডক্টরাল গবেষণা পরিচালনা করেন তিনি।
কারিকো ১৯৮৯ সালে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি ‘বায়োএনটেক আরএনএ ফার্মাসিউটিক্যালসে’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পরে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।
২০২১ সাল থেকে কারিকো সেজেড ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
ড্রিউ উইসম্যান
ড্রিউ উইসম্যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটনে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮১ সালে ব্র্যান্ডেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে বিএ এবং এনজাইমোলজিতে এমএ করেন।
উইসম্যান ১৯৮৭ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে ইমিউনোলজিতে এমডি এবং মাইক্রোবায়োলজিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বেথ ইজরায়েল ডেকোনেস মেডিকেল সেন্টারে ক্লিনিকাল প্রশিক্ষণ এবং জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পোস্টডক্টরাল গবেষণা করেন।
তিনি ১৯৯৭ সালে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনে তার গবেষণা দল প্রতিষ্ঠা করেন। উইসম্যান ভ্যাকসিন গবেষণায় ‘রবার্টস ফ্যামিলি’র একজন অধ্যাপক এবং ‘পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনে’র পরিচালক।
কাটালিন কারিকো এবং ড্রিউ উইসম্যান ১৯৯৭ সালে থেকে একত্রে কাজ শুরু করেন।