শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কানাডা সরকার। সেইসঙ্গে নিষিদ্ধ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাজ করার সুবিধাও। দুই বছরের জন্য এই নিয়ম কার্যকর হবে।
টরন্টো স্টার অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয়সময় সোমবার (২২ জানুয়ারি) কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার এক ঘোষণায় বলেছেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাজের অনুমতি সীমিত করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, এই ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে পালিয়ে যারা কানাডায় প্রবেশ করছেন বা বর্তমানে অবস্থান করছেন তাদের ঠেকানো সম্ভব হবে।
মার্ক মিলার বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের কাজের অনুমতি নিষিদ্ধ করা হবে। তবে মেডিকেল এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে।
অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার জানিয়েছেন, তবে এই বিধিনিষেধ স্থায়ী নয়। আগামী ২ বছর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা জারি থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী আছেন তারা এখানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং শপিং মলে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে এমন কাজ করেন, যা তাদের শিক্ষার মান কমিয়ে দিচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মন দেয়ার জন্য হলেও আমাদের লাগাম টানতে হবে।
মার্ক মিলার আরও বলেন, ‘সম্প্রতি কানাডায় বেশ কিছু সাইনবোর্ড সর্বস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের কোনো যোগাযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের সুবিধা সংক্রান্ত সরকারের যেসব নীতি বা মান রয়েছে, সেসবের কোনোটিই প্রতিষ্ঠানগুলো মানছে না শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও তারা অতিরিক্ত ফি রাখছে। এই প্রতারণা চক্র বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’
কানাডার বিদেশি শিক্ষার্থীদের অ্যাডভোকেসি সংস্থা কাসার পরিচালক ম্যাথুজ সালমাসি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করেছেন।
বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ ও বসবাসের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে কানাডা অন্যতম। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী কানাডায় যান। গত কয়েক বছর ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমনের যে জোয়ার শুরু হয়েছে, তার জেরে ইতোমধ্যে দেশটিতে আবাসন সংকট শুরু হয়েছে।