হৃদয় বাংলাদেশকে ধারণ করে কানাডার ক্যালগ্যারিতে গ্লোবাল ফেস্টে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির উদ্যোগে বিশ্বের ২৪টি দেশের সাথে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
এ বছর কানাডার ক্যালগেরিতে প্রায় ৪১০ হেক্টর জমির উপর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘গ্লোবাল ফেস্ট’। সাত দিন ব্যাপী ‘গ্লোবাল ফেস্ট’ গত ১৮ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৭ আগস্ট এর সমাপ্তি হবে।
প্রবাসীরা নিজেদের একান্ত নিজস্ব সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান দিয়ে নিজেদের প্যাভেলিয়ন সাজিয়েছে । পুরো অনুষ্ঠানে প্রতিদিনের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্যনীয়। কানাডার অন্যতম বৃহৎ লোকজ উৎসবে বাংলাদেশীদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিভিন্ন দেশের ভাষা ভাষীদের মধ্যে আকর্ষণীয় হয়ে উঠে।
এ বছর নাচ গান ও কবিতার পাশাপাশি ফ্যাশন শো’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে।
আতশবাজি বিভিন্ন দেশের আকর্ষনীয় উপাদান আর সুরের মূর্ছনায় একাকার হয়ে উঠে বহু সংস্কৃৃতির এই মিলন মেলা।
বহুজাতিক সম্প্রদায়ের বৈচিত্রকে সমর্থন, ভিন্ন সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সমতা উত্থাপন করাই ছিল গ্লোবাল ফেস্টের মূল উদ্দেশ্য।।
গ্লোবাল ফেস্ট’ এ উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির শানিলা মাহমুদ, শুভ মজুমদার, হাসান রহমান এবং মাহবুবা নুর অনু। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নাহিয়ান, জাহিন, আদিবা, সুমন, আসুসেনা, সমীর, মীম, জাহিদ, আসিতা, সুব্রত, রাত্রি, ইসমাত, মৌ, তাসমিয়া, প্রার্থনা এবং প্রকৃতি।
বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির কোষাধ্যক্ষ শানিলা মাহমুদ জানালেন, আমরা গর্বিত, আমাদের লাল সবুজের পতাকা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পেরে।
আভরণ ফ্যাশান এবং জুয়েলারি ডিজাইনার তাসমিয়া ইমদাদ জানালেন, এ এক অন্যরকম অনুভুতি, যেখানে আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে এবং নিজেদের পতাকাকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পেরেছি। ফ্যাশন শো’ এর মাধ্যমেও তুলে ধরেছি বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে।
বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সামাজিক সম্পাদক হাসান রহমান জানালেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা। সে লক্ষ্যেই আমরা একদল স্বেচ্ছাসেবী অবিরাম কাজ করেছি। আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে বিভিন্ন আইটেম দিয়ে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছি। ভবিষ্যতেও এভাবে আমরা আমাদের দেশ কে তুলে ধরতে চাই।
বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবা নুর অনু জানালেন, বিশ্ববাসীর সামনে আমাদের প্যাভিলিয়ন এবং সংস্কৃতিকে দেখানোর যে প্রচেষ্টা তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শুভ মজুমদার জানালেন, প্রবাসী বাঙ্গালীদের ছেলে মেয়েদের অংশগ্রহণে প্রমাণ করে দেশের প্রতি আমাদের মমত্ববোধ।ভবিষ্যতেও এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।
এ ধরনের আয়োজন বাংলাদেশ কানাডার মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।