স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় শাহিন মোল্লা (৩৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বাথরুমের ফলস্ ছাদে লাশ লুকিয়ে রেখেছিলো অপর এক ব্যবসায়ী এবং তার দুই সহযোগী। হত্যাকাণ্ডের ৭ দিন পর নিহতের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব-৮।
আজ শনিবার দুপুর ১২ টায় নগরীর রূপাতলী র্যাব-৮ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের কমান্ডার লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ইউসুফ মোল্লাসহ(২০) তার দুই সহযোগী নাজমুল ইসলাম অমি (১৯) এবং হামিম শিকদারকে (১৯) আটক করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গত ২৭ জানুয়ারী বরিশাল নগরীর রূপাতলী ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী শাহিন নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় শাহিনের স্বজন খালেক হাওলাদার গত ৩০ জানুয়ারী কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। ৩১ জানুয়ারী শাহিনের বোন শিরিন আক্তার মুন্নি এ ঘটনায় র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন।
এদিকে ২ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তরা শাহিনের পরিবারের কাছে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর সূত্র ধরে, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব গতকাল শুক্রবার জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফসহ তার সহযোগীদের আটক করে।
জানা যায়, র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ৩ জন ব্যবসায়ী শাহিন মোল্লাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ইউসুফের ভাড়া বাসা রূপাতলীর কাঠালতলা তালুকদার হাউজিংয়ের নাহার ভিলার চতুর্থ তলার বাথরুমের ফলস ছাদে লুকিয়ে রাখা শাহিন মোল্লার অর্থ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
কর্নেল মাহমুদুল আরও জানান, একই এলাকায় ব্যবসা করার সুবাদে শাহিন ও ইউসুফ পরস্পরের পরিচিত। এর সূত্র ধরে ইউসুফের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী স্বর্না বিশ্বাসকে কুপ্রস্তাব দেয় শাহিন। এর জেরে শাহিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে ইউসুফ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৭ জানুয়ারী রাত সোয়া ৯টার দিকে শাহিনকে বাসায় ডেকে নেয় ইউসুফ। এ সময় ঘরে লুকিয়ে থাকা তার অপর দুই বন্ধু অমি ও হামিমকে সঙ্গে নিয়ে শাহিনকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ টয়লেটের ফলস ছাদে রেখে ওই ভাড়া বাসা ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নেয় ইউসুফ।
আটককৃত ৩ জনকে সংশ্লিস্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৮ অধিনায়ক।