ব্রিসবেন থেকে: বাংলাদেশ দলের জয়ের উদযাপন তখন শেষ। সাংবাদিকদের অনেকেও প্রেসবক্স ছেড়ে বেরচ্ছেন। গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের কেউ কেউ ফেসবুকে পোস্টও দিয়ে ফেলেছেন জয়ের খবর জানিয়ে। ঠিক সেই মুহূর্তে জানা গেল মোসাদ্দেক হোসেনের শেষ বলটি নো!
এমনিতেই শেষের তিন ওভার বেশ রোমাঞ্চকর ব্যাটিং করে বাংলাদেশের জয় কঠিন করে তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। শেষে আবার নতুন রোমাঞ্চ, উৎকণ্ঠা। অতিরিক্ত রান হওয়ায় লক্ষ্য এবার ১ বলে ৪।
মোসাদ্দেকের দ্রুতগতির নিচু বাউন্সের লেন্থ বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি মুজারাবানি। আবার জয়ের আনন্দ। মাঠে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকরা দু-দুবার জয় উদযাপন করেছেন।
পিএইচডি করতে ব্রিসবেনে আসা বাংলাদেশের ছেলে মো. এমদাদ পরিবার নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন গ্যাবায়। ফেসবুকে বাংলাদেশের জয়ের পোস্ট দিয়ে পরে দ্রুতই ‘অনলি মি’ করতে হয়েছে তাকে।
স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গেটে হাজারখানেক প্রবাসী বাংলাদেশি জয় উদযাপন করেছেন জনপ্রিয় সব গান গেয়ে। ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের আশপাশের এলাকা মিরপুর হয়ে উঠেছিল যেন।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের শেষের রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেল আইসিসি মিডিয়া কর্মীদেরও। মাঠ থেকে চোখ সরছিল না তাদের। উত্তেজনায় গ্যালারিতে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে দর্শক। প্রেসবক্সের অবস্থাও ছিল অনেকটা এমন।
শেষে এমন নাটকীয়তা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের জন্যও নতুন। ৭১ রানের ইনিংস খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত সংবাদ সম্মেলনে কথা বললেন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে, ‘এ অভিজ্ঞতা আমার জন্য একদম নতুন। আমার মনে হয় দলের সবার জন্যও নতুন। দিনশেষে ফল আমাদের পক্ষে এসেছে এটা বড় কথা।’
১৫তম ম্যাচে এসে প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন শান্ত। বড় ইনিংস খেলতে পেরে তৃপ্ত তিনি, ‘আমার জন্য এটা স্পেশাল আমার প্রথম পঞ্চাশ ছিল। বড় করতে পারছিলাম না ইনিংস। যদি সেট হই প্রতিজ্ঞা ছিল ইনিংস বড় করার। আজকের জয়ে সামনের ম্যাচে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব। উন্নতির জায়গা আছে। সামনে যেন ভুল যেন কম হয় সেদিকে চোখ থাকবে।’
‘প্রথম ইনিংসের পর আমরা ১৫-২০ রান শর্ট ছিলাম। এটা আমাদের সবার মধ্যেই। তবে আত্মবিশ্বাস ছিল, বোলারদের উপর বিশ্বাস ছিল আমাদের। ভালো শুরু পেলে পরের ম্যাচগুলোতে যেন ১৬০-১৭০ রানে নিয়ে যেতে পারি সেটি চাই।’