নেইমার, অ্যালিসন বেকার ও এডেরসন, কাসেমিরো, এডের মিলিতাওদের মতো তারকা ফুটবলারদের ছাড়াই খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। একে তো পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা চোট জর্জর, তার উপর মাঠের পারফরম্যান্সে বাজে সময় পার করছিল। কোচ ডোরিভাল জুনিয়রের অধীনে শুরু হওয়া নতুন যুগে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে দারুণভাবে সেলেসাওরা বের হয়ে এলো। ইংল্যান্ডকে তাদেরই মাঠে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিল জোগো বনিতো ফেরানোর বার্তাই দিয়েছে।
তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা এনড্রিক গড়েন ইতিহাস। ১৭ বছর ২৪৬ দিন বয়সে ওয়েম্বলিতে সর্বকনিষ্ঠ গোল-স্কোরার হলেন। সেলেসাওদের অস্বাভাবিকভাবে অচল সময়ের পর তার উত্থানে ব্রাজিল যেন নিতে পেরেছে সজীব বাতাসের নিঃশ্বাস।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার রাতের ম্যাচে হয়েছে সমানে সমান লড়াই। দুদলই সমান ১৪টি করে শট নেয়। থ্রি লায়নরা লক্ষ্য বরাবর শট নেয় ৪টি, একটি বেশি নেয় ডোরিভালের দল।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর স্বাগতিক দর্শকদের হতভম্ব করে দেন রিয়াল মাদ্রিদে যোগদানের অপেক্ষায় থাকা এনড্রিক। ৭১ মিনিটে রদ্রিগোর বদলি হিসেবে নেমেই বাজিমাত করেন বর্তমানে পালমেইরাসে খেলা ১৭ বর্ষী এ ফুটবলার। পাল্টা আক্রমণে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাসে বল পেয়ে বাঁ-পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে বনে যান সুপার সাব। কোচ হিসেবে ব্রাজিলের ডাগ আউটে অভিষেকেই কৌশলে সফল হন ডোরিভাল।
শুরুর একাদশে পাঁচ অভিষিক্ত খেলোয়াড়কে নামিয়েও ব্রাজিল যেন গাইল জয়গান। সাম্বার দেশটি যেন প্রমাণ করে ছাড়ল, ফুটবল তাদের শিরায়-উপশিরায় বিদ্যমান। সেলেসাওদের নতুন দিনের সূচনায় তবু বয়ে গেল জয়ের আনন্দধারা।
গোলপোস্টের সামনে দাঁড়ানো বেন্তোকেও দিতে হবে কৃতিত্ব। ইংলিশদের তিনটি আক্রমণ প্রতিহত করে ব্রাজিলের জালটা তিনি ঠিকই অক্ষত রাখতে সক্ষম হন।