২০২২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপকে ফাইনালে ১ রানে শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল ফরচুন বরিশাল। চলতি আসরেও আবারও মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। এবার অবশ্য কুমিল্লার ব্যাটারদের চেপে ধরেছিল বরিশালের বোলিং লাইনআপ। তবে আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ছে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম শিরোপা ঘরে তুলতে বরিশালের দরকার ১৫৫ রান।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটে পাঠান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে লিটন দাসের দল।
ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চারবারের চ্যাম্পিয়নদের। ইনিংস শুরু থেকেই খেই হারাতে দেখা গেছে ব্যাটারদের। প্রথম ওভারে ঝলক দেখানোর আগেই সাজঘরে ফিরে যান বাঁহাতি ওপেনার সুনিল নারিন। তার পথ অনুসরণ করেন টপঅর্ডারের বাকি ব্যাটাররাও।
কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস দ্বিতীয় ওভারে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। তার সাথে যোগ দেন তাওহীদ হৃদয়। দ্বিতীয় ওভারে এ দুই ব্যাটার তিনটি বাউন্ডারি মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও সেটা ধরে রাখতে পারেননি দুজনের কেউ। লিটন ১৬ এবং হৃদয় ১৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন।
জনসন চার্লস প্রথম থেকে নার্ভাস থাকলেও দুটি ছক্কা হাকিয়ে নিজের স্বকীয়তা জানান দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে এ ব্যাটারও বরিশালের বোলারদের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, আউট হওয়ার আগে ১৫ রান করেন। ইনিংস বড় করতে পারেননি মঈন আলীও। রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ৩ রান করে।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন জাকের আলী অনিক ও মাহিদুল ইসলাম। এ দুজন ২৯ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। শেষ দিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। ১৯তম ওভারে জেমস ফুলারের ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন। তিনি খেলেন ১৪ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস। এছাড়া জাকের আলী ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
বরিশালের ফুলার ৪ ওভারে ৪৩ রানে ২ উইকেট নেন। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, কাইল মায়ার্স ও ওবেদ ম্যাককয় নিয়েছেন একটি করে উইকেট।