এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সিলেট থেকে: বিপিএলের দ্বিতীয় দিনে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ও সিলেট টাইটানসের ম্যাচটি ছিল বেশ রোমাঞ্চকর। ১৮তম ওভারে মেহেদী হাসান রানা করেন হ্যাটট্রিক। আগের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট হারানো সিলেট ১১৭ থেকে ১২৫ রান করতেই ৫ উইকেট হারায়। যদিও শেষবল পর্যন্ত গড়ানো ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেহেদী মিরাজ-খালেদ আহমেদরা। ক্ষণে ক্ষণে ম্যাচের রূপ বদলালেও আত্মবিশ্বাসী ছিল সিলেট। বলেছেন, ম্যাচ সেরা খালেদ আহমেদ।
শেষদিকে দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে পরিস্থিতি। ১৮তম ওভারে রানা হ্যাটট্রিক করলে চাপে পড়ে যায় সিলেট। আগের দুই ওভারেও উইকেট হারানো দলটি ৩ উইকেটে ১১৭ রান থেকে হঠাৎ করেই ৮ উইকেটে ১২৫ রানে নেমে আসে।
শেষ দুই উইকেটে দাঁড়িয়ে তখন স্বাগতিকদের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ১২ বলে ১৯ রান। শেষ ওভার শুরুর সময় প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ১৩ রান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নোয়াখালী এক্সপ্রেস সেই ওভারের দায়িত্ব দেয় মিডিয়াম পেসার সাব্বির হোসেনকে।
সাব্বিরের ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় সিলেট। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই গড়ালেও এক উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে তারা। ম্যাচ শেষে এই রান তাড়ার পেছনের পরিকল্পনার কথা জানান দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা খালেদ আহমেদ।
নোয়াখালীর বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন খালেদ আহমেদ। ম্যাচের পর ৩৩ বর্ষী ডানহাতি পেসার বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচে এতটা (ভালো বোলিং) হয়নি। আজকে (দ্বিতীয় ম্যাচে) আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, পাওয়ার প্লেতে বল করলে যেন দলকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারি। আমাকে অধিনায়ক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, আমি আমারটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
‘দেখেন শেষ দিকে খেলা। আমি ছয় মেরে দিলে তো খেলা শেষ হয়ে যাবে। আমি চেষ্টা করেছি যেন ছয়টা হয়। হয়তো মিস টাইমিং হয়ে গেছে। টাইমিং হলে ছয়টা হয়ে যেত।’
‘শুক্রবার হারার পর আমি বাইরে গিয়েছিলাম। সবাই আমার সঙ্গে কথা বলেছে, আফসোস করছিল, জিততে পারলে ভালো হতো। আমি বলে এসেছিলাম ইনশাআল্লাহ আজকে জিতব। আলহামদুলিল্লাহ সবাই সাপোর্ট করেছে। সিলেটে সবসময় দর্শক হয়। এরকম ভালো খেলা হলে দর্শক হয়। মাঠে দর্শক থাকলে খেলতেও ভালো লাগে।’








