ইনিংসের প্রথম তিন ওভারেই তিন টপ-অর্ডারকে হারিয়ে ধুঁকছিল ফরচুন বরিশাল। সেখান থেকে বড় সংগ্রহ পাওয়া ছিল চ্যালেঞ্জিং। তবে তা করে দেখিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। দুজনের ঝড়ো ফিফটিতে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে বড় সংগ্রহই গড়েছিল তামিম ইকবালের দল। পরে বাকী কাজটা করে দেন বোলাররা। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় টানা অষ্টম হার দেখতে হলো ঢাকার। ৪০ রানের বড় জয়ে টেবিলের চারে উঠে আসলো বরিশাল।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে তার দল। জবাবে ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৬ রানে ফিরে যান সাব্বির হোসেন। ৮ বলে ৫ রান করেন এই ওপেনার। ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের মালিক নাঈম শেখ। ১১ বলে ১০ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে।
৬.১ ওভারে ৪১ রানে তৃতীয় ব্যাটারকে হারায় ঢাকা। ১০ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান সাইফ হাসান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরেন অ্যালেক্স রোস ও মেহেরব হাসান। এই দুই ব্যাটার মিলে যোগ করেন ৩৯ রান। ১২.২ ওভারে টপ এজ হয়ে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন মেহরব হোসেন। ২৯ বলে ২৮ রান করেন মেহরব।
এরপর ২১ রান যোগ করার পথেই আরও তিন ব্যাটারকে হারায় ঢাকায়। একে একে ফিরে যান চতুরাঙ্গা ডি সিলভা (৪ বলে ৪ রান) , তাহজীবুল ইসলাম (৫ বলে ৭ রান) ও লাহিরু সামারুকন (০)। ১৭.৩ ওভারে ১৩৫ রানে তাসকিন ফিরে যান। একটি করে ছয় ও চারে ৫ বলে ৬ বলে ১২ রান করেন ঢাকা অধিনায়ক।
১৮.৩ ওভা ১৪০ রানে একপ্রান্ত আগলে রাখা রোসকে ফেরান সাইফউদ্দিন। পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৩০ বলে ৫২ রান করেন এই ব্যাটার। পরে দু্ই বল বাকী থাকতে গুটিয়ে যায় ঢাকার ইনিংস।
বরিশালের হয়ে সাইফউদ্দিন নেন তিন উইকেট। ওবেদ ম্যাককয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ নেন দুটি করে উইকেট, এছাড়া আকিফ জাভেদ নেন একটি।
এরআগে ব্যাটে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান চার রান করা তামিম ইকবাল। আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তাসকিনের বলে তিনি ক্যাচ আউট হন ১০ রান করে। ধাক্কা সামলিয়ে উঠার আগেই ফিরে যান মুশফিকুর রহিম। ব্যাট হাতে করেন মাত্র ১ রান।
গর্তে পড়া অবস্থা থেকে বরিশালকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য। ৮৫ বলে ১৩৯ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ১৭তম ওভারের শেষ বলে ১৫৮ রানে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শরীফুল ইসলাম। ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৭ বলে ৭৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
এরপর আর উইকেট হারাতে হয়নি বরিশালকে। শোয়েব মালিককে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন সৌম্য। ছয়টি ছক্কা ও চারটি চারে ৪৮ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন সৌম্য। আর দুটি চার ও এক ছক্কায় ১০ বলে ১৯ রান করেন শোয়েব।
ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন ও শরিফুল।