কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে বিপিএলের চলতি আসর শুরু করেছিল দুর্দান্ত ঢাকা। প্রথম ম্যাচ জিতে জয়রথ থেমে যায় দলটির। একের পর এক হার দেখতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম পর্বে এসেও হারের বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেনি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। তামিম ইকবালের ব্যাট হাতে ঝড়ের পর খালেদ-সাইফউদ্দীনের ঘূর্ণিতে টানা নবম হার দেখেছে ঢাকা। ২৭ রানের জয়ে টেবিলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এলো ফরচুন বরিশাল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগের ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৮৬ রানের সংগ্রহ গড়ে কীর্তনখোলা পাড়ের দলটি। জবাবে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।
ব্যাটে নেমে আহমেদ শেহজাদকে নিয়ে বরিশালকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল। উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৭৬ রান। ৮.২ ওভারে ২২ বলে ২৪ রান করে শেহজাদ ফিরে যান। সৌম্য সরকারকে সঙ্গী করে ৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম। ১৩.৩ ওভারে ১২৪ রানে আলাউদ্দিন বাবুর শিকার হয়ে ফিরে যান বরিশাল অধিনায়ক। সাতটি চার ও চারটি ছক্কায় ৪৫ বল ৭১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন দেশসেরা ওপেনার।
তিনটি চার ও এক ছক্কায় ২৩ বলে ২৮ রান করেন সৌম্য সরকার। শেষদিকে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৬ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ক্যামিও উপহার দিয়ে ইনিংস শেষ করেন সাইফউদ্দিন।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৩ বলে ১ রান করে ফিরেছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০ বলে ১৩ রান করে ফিরেছে যান। মিরাজ ফিরে যান রানের খাতা না খুলেই।
ঢাকার হয়ে আলাউদ্দিন বাবু নেন তিন উইকেট। তাসকিন নেন দুটি, শরিফুল নেন এক উইকেট।
রানতাড়ায় নেমে ঢাকার ব্যাটাররা এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য রান করেছেন অ্যালেক্স রোস। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৯ বলে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও সাতটি ছক্কার মার।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেন শন উইলিয়ামস। নাঈম শেখ ও তাসকিন আহমেদ করেন ১০ রান করে।
বরিশালের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দীন ও খালেদ আহমেদ। ওবেদ ম্যাককয় ও কেশব মহারাজ নেন একটি করে উইকেট।