সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল ছন্দে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দ্বিতীয় দফায় ঢাকায় ফিরে ফের জয়ে ফিরেছে শুভাগত হোমের দল। তামিম-মুশফিকদের ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছে ১৬ রানে।
মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ঢাকাকে চট্টগ্রামকে ব্যাটে আমন্ত্রণ জানান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় শুভাগত হোমের দল। জবাবে নেমে ৮ উইকেটে ১২৯ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।
এ নিয়ে ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে আসলো চট্টগ্রাম। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে বরিশাল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। ২৯ রানে তিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে হারায় তারা। আহমেদ শেহজাদ ১৭ বলে ১৬ রান করলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-মুশফিক মিলে তোলেন ৩৯ রান। ১১.৪ ওভারে মুশফিক ফিরে যান ১৩ বলে ৯ রান করে। ১৪.৩ ওভারে ৯০ রানে তামিমের উইকেটও হারায় বরিশাল। চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৬ বলে ৪৯ রান তামিম শিকার হন শহীদুল ইসলামের।
১৬.৩ ওভারে শোয়েব মালিককে ফেরান নিহাদুজ্জামান। ১২ বলে ১৪ রান করেন পাকিস্তান অলরাউন্ডার। ১৮.৫ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরে যান ৮ বলে ৩ রান করে। পরের বলে ফেরান আব্বাস আফ্রিদীকে।
শেষের দিকে সাইফউদ্দিন ঝলক দেখা গেলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি এই পেস অলরাউন্ডার। মোহাম্মদ ইমরানকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন। দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৮ বলে ৩০ রান করেন চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা সাইফউদ্দীন।
চট্টগ্রামের হয়ে শহীদুল ইসলাম নেন তিনটি এবং আল আমিন হোসেন নেন এক উইকেট। এছাড়া বিলাল খান, সৈকত আলী ও নিহাদুজ্জামান একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটে নেমে শুরুটা খারাপ হয়নি চট্টগ্রামের। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৯ রান। ৫.৪ ওভারে তানজিদ তামিমকে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৯ বলে ১০ রান করেন তামিম। ৯ম ওভারের শেষ বলে ৭১ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতন ঘটে। চারটি ছক্কা ও একটি চারে ২৩ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান জশ ব্রাউন।
টম ব্রুস একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে আরও তিন ব্যাটারকে হারায় চট্টগ্রাম। ১৪.১ ওভারে ১০৪ রানে ফিরে যান শাহাদাত হোসেন দীপু। ২০ বলে ১৫ রান করেন তিনি। নাজিবুল্লাহ জাদরান ও সৈকত আলী করতে পারেননি উল্লেখযোগ্য রান। পরে শুভাগত হোমকে নিয়ে ইনিংস করেন ব্রুস। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪০ বলে ৫০ রান করেন ব্রুস। শুভাগত অপরাজিত ছিলেন ৪ বলে ২ রানে।
বরিশালের হয়ে মোহাম্মদ ইমরান নেন দুটি উইকেট। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আব্বাস আফ্রিদী ও তাইজুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।