সময়ের হিসেবে আর বাকী খানিক সময়। এরপরই গড়াতে চলেছে বিপিএল দশম আসরের ফাইনাল। হ্যাটট্রিক শিরোপার লক্ষ্যে নামা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামা ফরচুন বরিশাল। ঘিরে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম জুড়ে বইছে গণজোয়ার। সেই সঙ্গে শিরোপার মঞ্চের টিকিট পাওয়া নিয়েও দর্শকদের মধ্যে দেখা গেছে হাহাকার।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় গড়াবে ফাইনাল মহারণ। এদিন সকাল থেকেই স্টেডিয়াম এলাকায় ভীড় করতে থাকেন ভক্তরা। সময়ের সাথে স্টেডিয়ামের প্রত্যেকটি গেইটে বাড়তে থাকে জনসমাগম। বিকেল চারটার দিকে গেট খুলে দিলে দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করেন।
অন্যদিকে টিকিটের না পাওয়ার হাহাকার দেখা গেছে দর্শকদের মাঝে। বরিশাল থেকে তিনবন্ধুর সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছিলেন ইয়াসিন নামের এক দর্শক। টিকিট কাউন্টারে গিয়ে পাননি টিকিটের দেখা। টিকিট না পেয়ে নিজের হতাশার কথা বলেছেন চ্যানেল আই অনলাইনকে। ‘সকালে এসেও টিকিট পাইনি। কালোবাজারিদের কাছে চলে গেছে সব টিকিট। তিনশো টাকার টিকিট দুই হাজার টাকা দাম চাচ্ছে তারা। এরকম হলে মানুষ খেলা দেখতে আসবে কীভাবে? পাশের দেশে বিশ্বকাপের সময় ম্যাচ দেখতে গিয়েও টিকিটের জন্য বিড়ম্বনা পেতে হয়নি।’
টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েই ফিরে যাবেন এই দর্শক। বলেছেন, ‘কী আর করা, টিকিট পাইনি, মাঠে বসে খেলা দেখা হবে না। কালোবাজারিদের কাছ থেকে এত টাকা দিয়ে টিকিটি কেনার ক্ষমতা নেই আমাদের। ফোনে খেলা দেখতে হবে।’
কুমিল্লার মিরাজও পায়নি কাউন্টারে টিকিটের দেখা। পরে ১৮০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন পূর্ব গ্যালারির টিকিট। যেটার নির্ধারিত মূল্য ছিল ৩০০ টাকা। তবে খেলার দেখার প্রবল ইচ্ছে থেকেই বাড়তি টাকা দিয়ে কিনেছেন টিকিট। চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘কুমিল্লা থেকে সকালে এসেছি। কাউন্টারে টিকিট পাইনি। কুমিল্লার পঞ্চম শিরোপা দেখেই বাড়ি ফিরতে চাই। সেকারণে বাড়তি টাকা দিয়েই কিনেছি টিকিট।’