বিপিএলের গত আসরে টেবিলের তলানিতে থেকে শেষ করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এবার দারুণ করেছে তারা। লিগপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তানজিদ তামিম ঝলকে খুলনার বিপক্ষে ৬৫ রানের বড় জয় পেয়েছে শুভাগত হোমের দল। প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। সেরা চারে খেলা নিশ্চিত হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেরও।
সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। দুইয়ে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এগিয়ে থাকলেও নিশ্চিত হতে পারেনি সিলেটের কাছে হেরে। দৌড়ে টিকে ছিল ফরচুন বরিশাল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। এই ম্যাচের ফলাফলে প্লে-অফের তিনটি দল নিশ্চিত হয়ে গেল।
১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রংপুর। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কুমিল্লা। ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে থেকে তিনে চট্টগ্রাম। এই তিন দলের প্লে-অফ নিশ্চিত। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চারে ফরচুন বরিশাল। পাঁচে থাকা খুলনার প্লে-অফের আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। সেজন্য অবশ্য সমীকরণ মেলাতে হবে রূপসাপাড়ের দলটির। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট তাদের। কুমিল্লার কাছে বরিশাল হারলে আর সিলেটকে খুলনা হারাতে পারলে রানরেটে এগিয়ে থাকা দলটি যাবে প্লে-অফে।
চট্টগ্রাম পর্বে শেষদিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম। তানজিদ তামিমের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৯২ রানের সংগ্রহ গড়ে দলটি। জবাবে একবল বাকি থাকতে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা।
রানতাড়ায় নেমে খুলনার ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও শাই হোপ ছাড়া উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি কেউ। ২৪ বলে ৩৫ রান করেন বিজয়, হোপ করেন ২১ বলে ৩১ রান। ১৭ বলে ১৮ রান করেন জেসন হোল্ডার। বাকিদের সবাই ফিরেছেন দুঅঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগে।
চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোম ২৫ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। বিলাল খান নেন দুটি। সালাউদ্দিন শাকিল, শহিদুল ইসলাম, রোমারিও শেফার্ড ও নিহাদুজ্জামান নেন একটি করে উইকেট।
আগে ব্যাটে নেমে ৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় সাগরপাড়ের দলটি। নাসুম আহমেদের বলে এক রানে ওয়েন পার্নেলের হাতে ধরা পড়েন মুহাম্মদ ওয়াসিম।
সৈকত আলীর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রান যোগ করেন তানজিদ। পরে জেসন হোল্ডারের বলে ১৭ রান করা সৈকত সাজঘরে ফেরেন। বল তালুবন্দি করেন মাহমুদুল হাসান জয়।
পরে বাইশ গজে পরে চলতে থাকে তানজিদ ঝড়। তাকে সঙ্গ দিতে থাকেন টম ব্রুস। তৃতীয় উইকেটে দুজনে ১১০ রানের জুটি গড়েন। সেঞ্চুরি হাঁকানো তানজিদকে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন পার্নেল। ৬৫ বলে ৮ চার ও ৮ ছক্কায় ১১৬ রানের ইনিংস খেলেন তানজিদ তামিম।
রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে শেষদিকে রানের গতি বাড়াতে থাকেন ব্রুস। শেষ ওভারে ৫ বলে ১০ রানে ফেরেন শেফার্ড। ২৩ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন টম ব্রুস।
খুলনার পক্ষে নাসুম, পার্নেল, মুকিদুল ইসলাম ও জেসন হোল্ডার একটি করে উইকেট নেন।