খুলনা টাইগার্স শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। চতুর্থ উইকেটে আজম খান ও ইয়াসির আলী রাব্বি গড়েন প্রতিরোধ। এরপর আবারো ব্যাটিং অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ফলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৯.৪ ওভারে ১৩০ রানেই অলআউট হয়েছে তামিম ইকবালের দল।
শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হওয়া দিনের দ্বিতীয় খেলায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা টাইগার্স দ্বিতীয় ওভারেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায়। তামিম এক রান করে আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন।
এরপর ওমরজাইয়ের বলে বোল্ড হন ১২ রান করা শারজিল খান। খানিকপর রাকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহান। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া খুলনার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ১৮ রান।
চতুর্থ উইকেটে আজম খানের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামালের চেষ্টা করেন অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি। এরপর আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়। ৩ উইকেটে ৭৬ থেকে খুলনার স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ৯১ রান।
আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে থাকা আজম ২৩ বলে ৪টি ৪ ও এক ছক্কায় খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। ইয়াসির ২২ বলে ২ ছক্কায় করেন ২৫ রান।
অষ্টম উইকেটে মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন এবং নাহিদুল ইসলাম ৩২ রানের জুটি গড়েন। পেসার হাসান মাহমুদের বলে ১৫ রান করা নাহিদুলের স্টাম্প ভাঙলে জুটির অবসান হয়।
১৮ বলে ২ চারে ২২ রান করা সাইফউদ্দিনকে সাজঘরে পাঠিয়ে নিজের চতুর্থ উইকেট শিকার করেন রবিউল হক। শেষ ব্যাটার হিসেবে নাসুম আহমেদ আউট হলে দুই বল আগেই ১৩০ রানে থামে খুলনার ইনিংস।
রংপুরের পক্ষে রবিউল ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে পান ৪ উইকেট। রাকিবুল ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় পান দুটি উইকেট। হাসান ৩.৪ ওভারে ২২ রান খরচায় দখল করেন ২ উইকেট। ওমরজাই ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪১ রান।