টানা পাঁচ ম্যাচ জেতা সাকিবদের বরিশালের দৌড় থামাল মাশরাফীদের সিলেট। ১৭৪ রানের লক্ষ্যে নেমে শেষদিকে জানাত ও ইফতিখারের ২১ আর ১৭ রানের ছোট্ট ক্যামিওতে আশা জাগালেও পারেনি বরিশাল, ২ রানের জয় তোলে সিলেট।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাবে ফরচুন বরিশাল ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে থামে ১৭১ রানে।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থাকল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট। টানা পাঁচ জয়ের পর আগের ম্যাচে কুমিল্লার কাছে হারে দলটি। অন্যদিকে সাকিব আল হাসানের বরিশাল হার দিয়ে শুরু করেছিল বিপিএল। পরে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে পৌঁছায়, মাশরাফীদের কাছে হেরে সেই দুইয়েই থাকল।
শেষ ৫ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৬৬ রান। মাশরাফীর করা ১৬তম ওভারের শেষ তিন বলে করিম জানাত তিন ছক্কা হাঁকালে আসে ২১ রান। মোহাম্মদ আমিরের করা ১৭তম ওভারে ১ রান ও জানাতের উইকেট হারালে সমীকরণ আবারও কঠিন হয়ে যায় বরিশালের।
১৮তম ওভারের প্রথম তিন বলে ইফতিখার নেন ১১ রান এবং শেষ তিন বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নেন ৭ রান। ১৯তম ওভারে ৮ রান ও মাহমুদউল্লাহর উইকেট হারিয়েও ম্যাচে ছিল বরিশাল। শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল, তারা নিতে পারে ১২ রান।
জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে মাশরাফীর বলে বরিশালের সাইফ হাসান সহজ ক্যাচ দিলেও নিতে পারেননি জাকির। পঞ্চম ওভারে ৩০ রানে থাকা সাইফ আরেকবার জীবন পান তানজিম হাসান সাকিবের বলে, তার পরের বলেই অবশ্য আউট হন। করে যান ১৯ বলে ৩১ রান।
তিনে নেমে শান্তর দুর্দান্ত ক্যাচে তানজিমের দ্বিতীয় শিকার হন এনামুল হক বিজয়, করেন মাত্র ৩ রান। বরিশালের সর্বোচ্চ রান ইব্রাহিম জাদরানের। ৩৭ বলে করেন ৪২ রান। টাইগার তারকা সাকিব আল হাসানের ব্যাটে আসে ২৯ রান।
সিলেটের রেজাউর রহমান রেজা ৪১ রানে তিনটি, মোহাম্মদ আমির ২৪ রানে দুটি এবং তানজিম হাসান সাকিব ৪০ রানে নেন দুই উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটে নামা সিলেট দ্বিতীয় ওভারে ৩ উইকেট হারালেও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তোলে।
১৫ রানে ৩ ব্যাটারকে হারানো সিলেটের শান্তর সঙ্গে জুটি বাধেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় রান নিয়ে যান একশর কাছে। ৩০ বলে ৪০ রান করে মুশফিক আউট হলে ভাঙে ৮১ রানের জুটি। থিসারা পেরেরা ১৬ বলে করেন ২১ রান।
ওয়াসিম তিনটি, সাকিব আল হাসান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন একটি করে উইকেট।