চট্টগ্রাম থেকে: টিভি আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বিপিএলে এডিআরএস পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেছেন, এডিআরএস থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া আসর বিপিএল। অথচ এবার নেই ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম)। বিকল্প হিসেবে গত আসরের মতোই এডিআরএস রাখা হয়েছে। এতে বরং বিতর্ক বাড়ছে। বল ট্র্যাকিং, স্নিকোমিটার না থাকায় ভুল করে বসছেন টিভি আম্পায়ারও। ফরচুর বরিশালের ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে টিভি আম্পায়ার বিতর্কিত আউট দিয়েছিলেন।
এমনই আরেকটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে কুমিল্লার ব্যাটার জাকের আলী অনিককে টিভি আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেন বল ‘পিচিং আউটসাইড লেগ’ এ থাকারও পরও।
১২ রানে ম্যাচ হেরে যায় কুমিল্লা। টানা তিন ম্যাচে হারের দায় ব্যাটারদেরই দিয়েছেন কোচ। বলেছেন জঘন্য ব্যাটিং করছে তার দল।
এডিআরএস নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আসলে কিছু বলতে পারবো না। এটা (এডিআরএস) নিয়ে তো বিতর্ক অনেক চলছে। আমি শুরুতেই বলেছিলাম একটা-দুইটা সিদ্ধান্তে আপনি ম্যাচটা হেরে যাবেন। সিদ্ধান্তগুলো আরেকটু ভালো হয়। আরেকটু চিন্তা ভাবনা করে দেয় তাহলে ভালো। খালি চোখে যেটা আমরা দেখছি নট আউট, সেটা থার্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দিচ্ছে। কি করতে পারি? আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা মাঠে চিল্লাচিল্লি করি এটা কি চান? এমনিই সাসপেন্ড করে দেবে। ঠিক আছে। যেহেতু খেলা চলছে। প্রতিবাদ করেও তো লাভ নেই। আমরা লিখিত দিব বা প্রতিবাদ করবো সেটা করেও তো লাভ নেই। কোনো লাভ হবে না। আসলে কিছু করার নেই। হাত-পা বাধা আছে। যা হবার তাই হবে আর কি।’
‘এডিআরএস থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো আমার মনে হয়। আম্পায়ার যেটা দিয়ে দেবে, সেটা দেওয়াই ভালো। এটা তো একেবারে লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে, এমন না যে…। আমার কাছে মনে হয় একটা দুটা সিদ্ধান্ত…প্রথম ম্যাচেও একটা সিদ্ধান্ত খারাপ হয়েছে, আজকেও। এমন ডিআরএস থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।’