চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বনির পর দুর্নীতির মামলায় এবার কৌশানির নাম

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’ খ্যাত টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর। ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে।

বনির পর এবার এই মামলায় নাম জড়ালো তার প্রেমিকা ও অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের।

মূলত নিয়োগ দুর্নীতিতে আটক পশ্চিমবঙ্গের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে বনির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছেন ইডি। তবে শুধু বনি নয়, কুন্তল ঘোষের আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারটা দেখতে গিয়ে খোঁজ পাওয়া যায় সোমা চক্রবর্তী নামের এক মহিলারও। যিনি কিনা পার্লারের মালিক।

শুক্রবার (১০ মার্চ) বনির পাশাপাশি সোমাও ইডি অফিসের ডাকে হাজির হয়েছিলেন। আর জেরা শেষেই ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, তার সংস্থার বিজ্ঞাপন করেছিলেন বনির প্রেমিকা কৌশানি। যদিও অভিনেত্রী চিনতেই পারেননি সোমাকে।

তদন্তকারীদের দাবি, কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকা গিয়েছে সোমার অ্যাকাউন্টে। সেই সূত্র ধরেই ডাক পড়ে সোমার। নথিপত্র নিয়ে সেই মহিলাও হাজির হন। শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন তিনি। সেখানে যখন সোমাকে প্রশ্ন করা হয় কৌশানি তার সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন কিনা, জবাব আসে ‘আমার ব্র্যান্ডিং করেছিল ও’।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কৌশানির ওই ছবিখানা। একটি নেল আর্ট পার্লারের বিজ্ঞাপনে তিনি, যার মালিক সোমা। যদিও এই ব্যাপারে অভিনেত্রী আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ‘তারকা হিসেবে আমার ছবি ব্যবহার করে থাকতে পারেন। সেগুলোর হিসেব রাখা অন্তত আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’

পশ্চিমবঙ্গের সেই সংবাদ মাধ্যমকে এই নায়িকা আরও বলেন, আমার মতো অভিনেত্রীদের ছবি ব্যবহার করলে ব্যবসা ভালো হয়। সেই কারণেই হয়তো ব্যবহার করেছেন! বা হতে পারে শিল্পী হিসেবে যেমন আমি অনেক পার্লার উদ্বোধন করি, সে ভাবে এই পার্লারও উদ্বোধন করেছিলাম। কিন্তু কবে কোথায় গিয়েছি, তা স্মরণে রাখা সম্ভব নয়।’

তবে কৌশানির স্মরণে না থাকলেও সোমার ভালোই মনে আছে যে তার পার্লারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বনির প্রেমিকাই। যদিও মুখোমুখি তাদের কথা হয়েছে কি না, পরিচয় আছে কি না সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাননি সোমা।