বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে বলিউডের প্রথম সারির অনেক অভিনেত্রীই এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত। ইতোমধ্যেই ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, দীপিকা পাডুকোনের মত তারকারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান তৈরী করেছেন। এবার অপেক্ষা আলিয়া ভাটের।
কিন্তু জানেন কি শুধু ঐশ্বরিয়া, প্রিয়াঙ্কা, দীপিকা কিংবা আলিয়াই নন হিন্দি ফিল্মজগতের আরও এক অভিনেত্রী রয়েছেন যিনি হলিউডে পা রেখেছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি হলিউডে অভিষেক করেছিলেন ঐশ্বরিয়ারও আগে। তিনি হলেন প্রয়াত ভারতীয় মডেল ও অভিনেত্রী পার্সিস খামবাত্তা।
সত্তরের দশকের শেষের দিকে (১৯৭৯ সালে) মুক্তি পেয়েছিল ‘স্টার ট্রেক: দ্য মোশন পিকচার’। সেই ছবির লেফটেন্যান্ট ইলিয়াকে মনে পড়ে? তিনিই ছিলেন এই পার্সিস খামবাত্তা। আদতে তিনি হলিউডের অভিনেত্রী নন। ওই নায়িকার অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল বলিউডেই।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেছিলেন পার্সিস খামবাত্তা। এরপর ১৯৬৫ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে কে এ আব্বাস পরিচালিত ‘বাম্বাই রাত কি বাহো মে’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
কিন্তু তার পশ্চিমী (অভারতীয়) চেহারার জন্য তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। পরে তিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ‘স্টার ট্রেক: দ্য মোশন পিকচার’ ছাড়াও ‘নাইটহক্স’ (১৯৮১), ‘মেগাফোর্স’ (১৯৮২), ‘ওয়ারিয়র অফ দ্য লস্ট ওয়ার্ল্ড’, ‘শি-উলভস অফ দ্য ওয়েস্টল্যান্ড’-এর মতো ছবিতে পার্সিসের অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এছাড়া রেভলন সহ আরও কিছু পণ্যের মডেল হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি।
পার্সিসের সর্বশেষ টেলিভিশন অভিনয় ছিল ‘লয়স অ্যান্ড ক্লার্ক: দি নিউ অ্যাডভেঞ্চার্স অফ সুপারম্যান’ সিরিজের একটি পর্বে। ১৯৯৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের মেরিন হাসপাতালে মারা যান পার্সিস।
সূত্র: ডিএনএ