প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিসহ তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় সমালোচিত রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু সাঈদ চাঁদ এখন মাগুরা জেলা কারাগারে। মাগুরায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমানের করা মামলায় হাজিরা দিতে আজ শনিবার দুপুরে তাকে মাগুরা জেলা কারাগারে আনা হয়েছে।
শনিবার ১৫ জুলাই দুপুরে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় গাড়িতে করে তাকে মাগুরা জেলা কারাগারে আনা হয়। আগামীকাল রোববার মাগুরার আদালতে তাকে হাজির করে জামিন আবেদন শুনানি হবে।
চাঁদের পক্ষের আইনজাবী অ্যাভোকেট ওয়াশিকুর রহমান কল্লোল বলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু সাইদ চাঁদকে আজ শনিবার দুপুরে মাগুরা জেলা কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় জেলা কারাগারের সামনে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নেতাকর্মীরা চাঁদের পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। মাগুরা আদালতে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আগামীকাল রবিবার জামিন আবেদনের মাধ্যমে আইনি লড়াই করে আমরা তাকে মুক্ত করবো।
মামলার বাদী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বলেন, গত ১৯ মে বিকেলে রাজশাহী জেলা ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় শিবপুর বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চাঁদ প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্য দেন। আসামী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নেই, এখন এক দফা। তা হচ্ছে শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে’।
মামলার বাদী ও সাক্ষীরা একই দিন সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই বক্তব্য প্রচার হতে দেখে মর্মাহত ও অপমানিত হন। এছাড়া এ ধরণের বক্তব্যে মাগুরা জেলার অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক ও অপমানবোধ জাগ্রত হওয়ায় তিনি মাগুরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে আসামী আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে গত ২৪ মে আদালতে মামলা করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন তিনি। মাগুরা সদর আমলী ও ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বাদীর বক্তব্য শুনে মামলাটি মাগুরা সদর থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ দেন।