চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

চ্যানেল আইয়ের জন্মদিনে প্রাণঢালা অভিনন্দন

সিদ্ধেশ্বরীর একটি ছোট্ট পরিসরে চ্যানেল আইয়ের যাত্রা শুরু। সেই সময় থেকেই এই আধুনিক টেলিভিশন চ্যানেলটির সাথে আমার পরিচয়। মূলত শাইখ সিরাজের সাথে আগে থেকে গভীর সম্পর্কের কারণেই এই চ্যানেলটিকে নিজের চ্যানেল হিসেবে জানি। শাইখের সাথে কৃষির উন্নয়নের জন্য বিটিভি কাজ করতাম। আমাকে গ্রাম-বাংলায় নিয়ে যেতেন। মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে আমি মাঠ-ঘেষা গবেষক হিসেবে প্রায়ই অংশগ্রহণ করতাম। সেই ধারাবিকতায় চ্যানেল আইয়ের ‘ হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে আরও গভীর হয়। দিন দিন তা আরও পোক্ত হয়। চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে কৃষকের বাজেট নিয়ে জনঅংশগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমি শাইখ সিরাজের সঙ্গে একাধিক জেলার গ্রামে গিয়েছি। গভর্নর থাকা কালে আধুনিক কৃষির প্রসারের জন্য তার সাথে কতো গ্রামেই না গিয়েছি। ঈশ্বরদীর কৃষকরা এখনও সে কথা মনে রেখেছে। সুযোগ পেলেই সেই সূত্র ধরে তারা তাদের সমস্যার কথা আমাকে ও শাইখকে বলেন। আমরা সাধ্য মতো তাদের সেইসব সমস্যা কি করে সমাধান করা যায় সেই পরামর্শ দিয়ে থাকি। চ্যানেল আই উদ্ভাবকদের নিত্য সঙ্গি। চ্যানেল আইয়ের কল্যাণেই আমরা হরি ধানের হরি, ক‚ল ময়েজ, লাউ বাশাহ, ছাদ বাগানের নানা উদ্যোক্তাদের সাথে আমাদের পরিচয়। নয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষে শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা যে সাফল্য অর্জন করেছেন সেই বার্তাও আমরা চ্যানেল আইয়ের কাছ থেকেই পাচ্ছি।

চ্যানেল আই’ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের সামাজিক দায়িত্ব কর্মসূচির অংশ হিসেবে যৌথভাবে দেশের সেরা কৃষি উদ্যোক্তাদের পুরস্কার দিয়ে থাকে। আমাকে তারা সেই পুরস্কার সম্পর্কিত জুরি বোর্ডের সদস্য বানিয়েছে। সেই সুবাদে চ্যানেল আইয়ের কর্মীদের সাথে নতুন করে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ পেয়েছি। শুধু শাইখ কেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদপুর রেজা সাগর ও অন্যান্য পরিচালকদের সাথেও রয়েছে আমার সুস্পর্ক। তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর থাকার সময় ডিজিটাল অর্থায়ন নিয়ে সামান্য কিছু কাজ করেছি। রেগুলেটরি ইকোলজিকে পরিবর্তনমুখী ও অন্তর্ভুক্তমূলক করার কিছুটা চেষ্টা করেছি। সেই প্রচেষ্টাকে মনে রেখে তারা আমাকে ডিজিটাল উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। কভিড সত্ত্বেও চ্যানেল আইয়ের এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আমি সানন্দে যোগদান করেছিলাম। তথ্য প্রযুক্তির প্রতিমন্ত্রী পলক আহমদ জুনায়েদের হাত থেকে এই সম্মাননা নিতে পেরে আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। তরুণ এই নীতিনির্ধারক বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার জন্য যে সব উদ্যোগ নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন সেসময়ের প্রশংসা না করে উপায় নেই। চ্যানেল আইকে ধন্যবাদ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’কে সামনের দিকে এগিয়ে নেবার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য। তারও কয়েক বছর আগে রবীন্দ্রনাথের গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণার জন্য চ্যানেল আই আমাকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে। চ্যানেল আইয়ের এই বদান্যতার কথা ভুলি কী করে?

Bkash

তাই যখনই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাজেট বিষয়ক কোনো আলোচনায় তারা ডাকেন আমি না করতে পারি না। রাজু আলিম নাছড়বান্দা প্রযোজক। সামনা সামনি বা জুমে তিনি আমাকে যুক্ত করতে কিছুতেই হাল ছাড়তে চান না। সম্ভব হলে তার ডাকে প্রায়ই সাড়া দেই। রিজভী নেওয়াজ আরেক বিখ্যাত অর্থনৈতিক প্রতিবেদক। সুযোগ পেলেই অর্থনীতির নানা বিষয়ে বাইট নিতে উপস্থিত হয় রিজভী। আমি আর না করতে পারি না। শুধু দেশে চ্যানেল আইয়ের পক্ষে রিজভী উঠে গেছেন সুদূর ম্যানিলায়, ওয়াশিংটন এবং পেরুতে আমার পুরস্কার প্রাপ্তি এবং আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণকে দেশবাসীর সামনে হাজির করতে। তাদের এই সহযোগিতার কথা ভুলি কী করে? এছাড়া এক সময় জিল্লুরের পরিচালনায় তৃতীয় মাত্রায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করতাম। ‘প্রকৃতি ও জীবন’ও আমার আরেক পছন্দের অনুষ্ঠান। এভাবেই শুধু অর্থনীতি নয় জীবনের নানা অনুসংঘ নিয়ে চ্যানেল আই অনুষ্ঠান করে। সিদ্ধেশ্বরী থেকে এখন তেজগাঁওয়ের বিপুল পরিসরে চ্যানেল আইয়ের নয়া ঠিকানা। আধুনিক, রুচি সম্মত এবং প্রাসঙ্গিক এক চ্যানেলের নাম চ্যানেল আই। শুধু দেশে নয় প্রবাসীদের কাছে চ্যানেল আই সমান জনপ্রিয়। চটকদার নয়, বাস্তব সম্মত ও আশা জাগানিয়া বার্তা দেয় বলে দেশে-বিদেশে চ্যানেল আইয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রয়েছে। দীর্ঘ তেইশটি বছর পেরিয়ে চ্যানেল আই এবছর চব্বিশ বছরে পা দিচ্ছে। তাদের এই অগ্রযাত্রা অক্ষুন্ন থাকুক। বাংলাদেশের হৃদয় জুড়ে থাকুক চ্যানেল আই তার জন্মদিনে সেই প্রত্যাশাই করছি।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View