বাংলা চলচ্চিত্রকে যারা একইসঙ্গে অভিনয়, নির্মাণ ও প্রযোজনা দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন তাদেরই একজন নায়ক আলমগীর। কয়েক দশক ধরে অসাধারণ অভিনয় সত্তায় মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। জুটি বেঁধেছেন শাবানা, ববিতা, কবরীসহ আরও অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে। সবক্ষেত্রেই নিজের সেরাটা দিয়েছেন ক্যামেরার সামনে।
৩ এপ্রিল কিংবদন্তী এই নায়কের জন্মদিন। গেল বছরের জুনে দেশের চিরসবুজ এই নায়ক অভিনয় জীবনের সুবর্ণ জয়ন্তী পূর্ণ করেছেন। ১৯৭২ সালের জুনে আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ চলচ্চিত্রের জন্য প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর ঠিক পরের বছর ২৪ অক্টোবর একসাথে মুক্তি পেয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘আমার জন্মভূমি’ এবং ‘দস্যুরানী’ নামের দুটি ছবি। ঈদের দিন ছিলো।
মাত্র ২২ বছর বয়সে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন আলমগীর। বাকি ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্রের সাথেই আছেন। জীবনের সিংহভাগ সময় অভিনয়কে দেয়ার পরও নায়ক আলমগীরের নিজেকে নিয়ে মন্তব্য, ‘এখনো সুঅভিনেতা হতে পারিনি। কারণ শিল্পী হওয়া এত সহজ নয়। অভিনয়ে পূর্ণমান ১০০-তে নিজেকে পাস মার্কস দিতে রাজি; এর বেশি নয়’।
১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল কিংবদন্তীতুল্য গুণী এ অভিনেতা জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ছিলেন ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ এর অন্যতম প্রযোজক। তার জন্মদিনে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান। এমনকি এদিন দুপুরে চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘তারকা কথন’ এ উপস্থিত হয়েছেলেন এই নায়ক। ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন চলচ্চিত্রের একাল সেকাল নিয়ে।
তার জন্মদিনে চলচ্চিত্রাঙ্গনের তারকারা নানাভাবে নায়ক আলমগীরের প্রতি তাদের মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করছেন। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। সুপারস্টার শাকিব খান থেকে শুরু করে চিত্রনায়িকা নিপুন, মিশা সওদাগররাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নায়ক আলমগীরকে নিয়ে কথা বলছেন।
রুনা লায়লা:
শাকিব খান, চিত্রনায়ক
মিশা সওদাগর, খল-অভিনেতা
আসিফ, সংগীতশিল্পী
অমিত হাসান, চিত্রতারকা
চয়নিকা চৌধুরী, নির্মাতা:
আঁখি আলমগীর:
অঞ্জনা, চিত্রনায়িকা:
নিপুন আক্তার, চিত্রনায়িকা
শাহনূর, নায়িকা
অনন্য মামুন, নির্মাতা
জয় চৌধুরী, চিত্রনায়ক