পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তনের নজির গড়ে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসরের প্রথম দল হিসেবে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট কেটেছে নেপাল। কাগজে-কলমে সম্ভাবনা থাকলেও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া।
দুই ম্যাচে দুই জয় এবং এক হারে নেপালের পয়েন্ট ৬। ভারতের একটি করে জয়, ড্র ও হারে ৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা বাংলাদেশ ৪ পয়েন্টে আছে। সন্ধ্যায় স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ ভুটান। এ ম্যাচ অন্তত ড্র করলেই লাল-সবুজের দল ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করবে, বাদ পড়বে ভারত।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে সুনিতা মুন্ডার নেয়া ডান পায়ের শট অল্পের জন্য পোস্টের উপর দিয়ে গেলে লিড পায়নি ভারত। দশম মিনিটে সুমিতা কুমারীর পাসে বল পাওয়া কাজল ডি সুজার দুর্বল শট নেপাল গোলরক্ষক ধরে ফেলেন।
পরে ২১ মিনিটের মাথায় লিড পায় ভারতের মেয়েরা, সুমিতার দারুণভাবে বাড়িয়ে দেয়া বলে লক্ষ্যভেদ করেন অপর্ণা নারজারি।
খেলার ২৯ মিনিটে পরপর দুটি কর্নার কিকে নেপাল সমতায় ফেরার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। প্রথম কিকটি পাঞ্চে ফেরান ভারতের গোলরক্ষক আনশিকা। পরেরটিতে আমিশা কারকির নেয়া হেড আনশিকা গ্লাভসবন্দি করেন।
বিরতির পর ৪৮ মিনিটে আনশিকার মারাত্মক ভুলের জন্য নেপাল গোল পেয়ে যায়। শুভাঙ্গি সিংয়ের সাথে বল দেয়া নেয়া করে ভারত গোলরক্ষক কিক নেয়ার সময় তার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আমিশা। বল তার পায়ে লেগে গোলমুখে থাকা অঞ্জলি চাঁদের হালকা টোকায় জালে জড়িয়ে যায়।
মিনিট চারেক পর অঞ্জলির নেয়া ডান পায়ের দূরপাল্লার শট আনশিকা ধরতে পারায় স্কোরলাইন থাকে ১-১।
বক্সের ভেতর অঞ্জলির পায়ে লাথি মেরেছিলেন প্রতিপক্ষের একজন, রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে ৬৯ মিনিটে স্পট কিকে নিশানাভেদ করে নেপালকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক প্রীতি রাই।
ম্যাচের ৮৯ মিনিটে প্রীতির ক্রসে বল পেয়ে আমিশা গোল করে ভারতের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।