চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

যে পাঁচ বায়োপিকের অপেক্ষায় দর্শক

বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবন সম্পর্কে ভক্তদের জানার আগ্রহের কারণেই হলিউডে প্রতি বছর মুক্তি পায় নতুন নতুন বায়োপিক। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এলভিস প্রিসলির বায়োপিক ‘এলভিস’। এই ছবিটি সাড়া ফেলেছে বক্স অফিসে। দর্শকরা অপেক্ষায় আছেন মেরিলিন মনরোর বায়োপিক ‘ব্লন্ড’র জন্য। আরও কয়েকটি বায়োপিকের আশায় দিন গুনছেন সিনেমা পিপাসুরা। তেমনই পাঁচটি চরিত্র নিয়ে সাজানো হয়েছে ফিচার:

নাটালি উড
হলিউডের বড় ক্ষতি হয়েছিল নাটালি উডকে হারিয়ে। সিনেমার তারকা, যার নিজের জীবনই সিনেমার করুণ কাহিনীর মতো। ক্যারিয়ারে তিনবার অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। উড চার বছর বয়সে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৮১ সালে নৌকা ডুবিতে মৃত্যু হয় তার।

সিসেলি টাইসন
সাত দশকের অধিক সময়ের কর্মজীবনে মার্কিন অভিনেত্রী সিসেলি টাইসন পর্দা ও মঞ্চে বলিষ্ঠ অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান অভিনেত্রী হিসেবে এমি পুরস্কার জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রির বহু দেয়াল ভেঙে এগিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। কর্মজীবনে তিনি তিনটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার, চারটি ব্ল্যাক রিল পুরস্কার, একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, একটি টনি পুরস্কার, একটি একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার ও একটি পিবডি পুরস্কার অর্জন করেছেন। টাইসনের সম্পর্ক ছিল মিউজিসিয়ান মাইলস ডেভিসের সঙ্গে। মনে করা হয়, টাইসনের বায়োপিক তৈরি হলে জেনডায়া হবেন ‘পারফেক্ট চয়েজ।’

হায়াও মিয়াজাকি
জাপানের ‘ওয়ার্ল্ড ডিজনি’ বলা হয় হায়াও মিয়াজাকিকে। তিনবার অস্কারে মনোনয়ন প্রাপ্ত নির্মাতা তিনি। ২০০৩ সালে সেরা অ্যানিমেটেড ফিচার ‘স্পিরিটেড অ্যাওয়ে’ এর জন্য অস্কার জিতে নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে তাকে সম্মানসূচক অস্কার দেয়া হয়। মিয়াজাকি একাধারে নির্মাতা, অ্যানিমেটর, স্ক্রিনরাইটার, লেখক এবং মাঙ্গা আর্টিস্ট। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমেশন স্টুডিওগুলোর মাঝে অন্যতম ‘স্টুডিও ঘিবলি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি।

মিসটি কোপল্যান্ড
আমেরিকান ব্যালে ড্যান্সার মিসটি কোপল্যান্ড ছিলেন প্রথম আফ্রিকান অ্যামেরিকান নারী যিনি আমেরিকান ব্যালেট থিয়েটার কোম্পানিতে ‘প্রিন্সিপ্যাল ড্যান্সার’ পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন ২০১৫ সালে। ডিজনির ‘দ্য নাটক্র্যাকার’ ও ‘ফোর রিয়েলমস’-এ তিনি তার অবিশ্বাস্য দক্ষতা দেখিয়েছিলেন। তার পেশাগত জীবনের অর্জন ও সংগ্রামগুলো বড়পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হলে নিঃসন্দেহে তা দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে।

হিথ লেজার
যার মৃত্যুতে চমকে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব, তিনি হিথ লেজার। ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত ‘দ্য ডার্ক নাইট’ ছবিতে জোকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হিথ লেজার। জোকার চরিত্রে হিথের অভিনয় বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে। ২০০৮ সালে নিজের ঘরে ড্রাগ ওভারডোজে মৃত্যু হয়েছিল তার। হিথের বায়োপিক তৈরি হলে সেখানে ফুটে উঠতে পারে অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকত থেকে হলিউডে আসার গল্প। মনে করা হয় এই তারকার গল্প সুন্দর ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন নির্মাতা পাবলো লরেন।

সূত্র: কলিডার