জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘লুই ভিটন’ এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বার্নার্ড আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কোম্পানির শেয়ারের রেকর্ড মূল্য বাড়ায় এই অগ্রগতি ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর ফলে তিনি ধনীদের তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছেন। এর আগে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এই পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে পেরেছিলেন। তবে তাদের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মুল্য কমে গেলে বার্নাড এক নম্বর স্থানে চলে আসে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, মঙ্গলবার বার্নাডের মোট সম্পদ ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ২০১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিশ্বের ধনীদের মধ্যে বিলাসী পণ্যর ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে, লুই ভিটনের শেয়ার ৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় এই বছর তার সম্পদে ৩৯ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বার্নাড তার সন্তানদের ইতিমধ্যে কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। তার বড় সন্তান ডেলফাইনকে ‘ক্রিশ্চিয়ান ডিওরে’র প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আরেক সন্তান ফ্রেডেরিক আর্নল্ট হলেন ‘ট্যাগ হিউয়ারে’র প্রধান নির্বাহী। আলেকজান্ডার আর্নল্ট ‘টিফ্যানির’ একজন নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জিন আর্নল্ট লুই ভিটনের ঘড়ি বিভাগের মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।
ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার অধিগ্রহণসহ বেশ কিছু কারণে তার সম্পদ ২৫ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পায়। ১২৮ বিলিয়ন ডলার নিয়ে জেফ বেজোস তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।