‘শরীর থাকলে রোগ হবে’-এ যেন চিরসত্য! ঠিক তেমনই মনের রোগ হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই মনের অসুখের খোঁজ ক’জন আর রাখে! আর কজনই বা এই অসুখের গুরুত্ব দেয়? এখনও অনেক দেশেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত কোন রোগীকে পাগল বলেই আখ্যা দেওয়া হয়। আর যারা তাদের চিকিৎসা করেন, তারা হয়ে যান পাগলের ডাক্তার।
২০১৬ সালে এই মানসিক স্বাস্থ্যকেই কেন্দ্র করে বলিউডে নির্মিত হয়েছিল গৌরি শিন্ডে পরিচালিত সিনেমা ‘ডিয়ার জিন্দেগি’। যেখানে প্রধান চরিত্রে একজন মানসিক অবসাদগ্রস্ত রোগীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আলিয়া ভাট। এছাড়াও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে এক্সটেন্ডেড ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ খানকে। যদিও গোটা ছবি জুড়ে অভিনেতার স্ক্রিন টাইম ছিল মেরেকেটে ৩৫ মিনিট। কিন্তু ওটুকু সময়েই নিজের চরিত্রটি পর্দায় বেশ ভালো ভাবেই তুলে ধরেছিলেন কিং খান। যা আজও দর্শকের হৃদয়ে রয়ে গেছে।
শুধু তাই নয় এই সিনেমাটি মুক্তির পর যে অনেকেই মনোরোগ নিয়ে সতর্ক ও সচেতন হয়েছেন সম্প্রতি এমনটাও দাবি করেছেন ছবির পরিচালক গৌরী শিন্ডে। সম্প্রতি মেন্টাল হেলথ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছিলেন পরিচালক গৌরী শিন্ডে। সেখান এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “শাহরুখ খানের মতো বলিউডের প্রথম সারির নায়ক যখন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন, তখন সেই কথা শ্রেণি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।”
পরিচালক বলেন, “আমি মাত্র ৪-৫ লাইনের মধ্যে শাহরুখকে গোটা ছবির বিষয়বস্তু বর্ণনা করেছিলাম। ও শুনেই বলেছিল যে ওকে ঠিক কী করতে হবে! এরপর আমরা স্ক্রিপ্ট নিয়ে বেশ কয়েকবার বসি। শাহরুখ নিজেও কিছু ইনপুট দেয়। কীভাবে একজন থেরাপিস্টের চরিত্রটি গড়ে তোলা হবে, যাতে সবরকমের দর্শকের মধ্যে তার প্রভাব পড়ে, সবদিকেই নজর রাখা হয়েছিল। আসলে আমি শাহরুখ খান ছাড়া ডঃ জাহাঙ্গীর খানের চরিত্রে অন্য কাউকে ভাবতেই পারিনি। ওকে ছাড়া চরিত্রটি সত্যিই কল্পনা করা যায় না। আমি মনে করি, শাহরুখের কারণেই ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষ থেরাপি নিয়ে আরও সচেতন হয়েছে। মনোরোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আসলে আমার এমনই একজনকে দরকার ছিল, যে অভিনেতা হিসাবেও দারুণ এবং নায়ক হিসাবে যার সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা আছে।”
সূত্র: পিঙ্কভিলা