বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানের বাসায় গিয়ে দেখা করেছেন তামিম ইকবাল। ঘণ্টাখানেক আলোচনার পর তামিম সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে গেলেও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান নাজমুল হাসান। তামিম ইস্যুতে বিপিএলের পর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।
‘আমি ওকে বলেছি যে, নির্বাচন শেষ হলেই আমি তোমার সবকিছু জানবো বা সমস্যা শুনবো। এমন তো না, আমি কারো কথায় কিছু বলবো না। আগে আমাকে নিজে জানতে হবে সমস্যাটা কোথায় এবং আমি সবার সাথে কথা বলবো সব কিছু জানবো, তারপর নিজে সিদ্ধান্ত নেব। যেটা আমি আগে করতাম। ও বললো যে এটা খুবই ভালো কথা।’
তামিম ইস্যুতে পাপন বলেন, ‘ওর (তামিম) সাথে কথা হয়েছে যে, যাই সিদ্ধান্ত নেই, বিপিএলের পরে, আশা করি নির্বাচনের পরেই বিপিএল শুরু হবে তখন সব প্লেয়ারদেরও পাব, কোচিং স্টাফদের পাব। আমার ধারণা এর মধ্যে আমি সব জানতে পারবো এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দ্বন্দের পর থেকে ক্রিকেটের বাইরে আছেন তামিম। কবে ফিরবেন সেটিও স্পষ্ট করেননি। জাতীয় দলে দ্রুত না দেখা গেলেও নিশ্চিত করে খেলবেন জানুয়ারির বিপিএল। দেশসেরা ওপেনারের ক্যারিয়ার নিয়ে কী ভাবনা, সেটি হয়ত ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টুয়েন্টি আসরের সময়ই জানা যাবে।
তার আগে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে খেলবে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ।
তামিম ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে এই মেয়াদের পরই বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দেন নাজমুল হাসান। প্রায় এক যুগ ধরে তিনি বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
‘এই টার্ম তো আর বেশিদিন নাই। আমি আর বেশিদিন নাই। আমার প্ল্যান হচ্ছে, আর একটা বছর আছে। এবং এর মধ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই টিমকে ঠিক করে যাব।’
নাজমুল হাসান বলেন, ‘বিপিএলের পর তামিমের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার আগে সে ফিরবে না। আমার মেয়াদও শেষের দিকে। দায়িত্ব ছাড়ার আগে বেশকিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’
২০১২ সালের অক্টোবরে নাজমুল হাসান প্রথমবার দায়িত্ব নেন সরকারের মনোনয়নে। পরের বছরের অক্টোবরে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এরপর ২০১৭ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোর্ড সভাপতি হন। ২০২১ সালের অক্টোবরে আরও একবার চার বছর মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন তিনি।