নিজ দেশের বোর্ডের নির্দেশ মেনে দেশে ফিরে যাচ্ছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। তাতে জৌলুস হারানোর শঙ্কায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টুর্নামেন্টের প্লে-অফের আগে বিকল্প ক্রিকেটার খুঁজতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে।
বিপিএলে এবার সব দলেই ছিলেন দুইয়ের অধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। দাপটও দেখিয়েছেন তারা। চার সেঞ্চুরির তিনটিই করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেটও (৭ ম্যাচে ১৩) পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজের।
ক্রিকেটারদের ডেকে পাঠানোর কারণ ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে চলা পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। ২০ জানুয়ারি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগের আগামী মৌসুমের সূচি প্রকাশ করে পিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অনুরোধে বিপিএল থেকে ক্রিকেটারদের ডেকে পাঠাল বোর্ডটি। ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বিপিএল ছাড়তে বলা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে গেছেন খুলনা টাইগার্সের আজম খান ও আমাদ বাট। জানিয়েছে দলটির মিডিয়া বিভাগ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের কোচ রাজিন সালেহ জানান মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম বাংলাদেশ ছেড়েছেন।

বিপিএলের সিলেট পর্ব শেষ হতেই ফিরে গেছেন অন্য দলের পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও। পিএসএল চুক্তিতে না থাকায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা মাশরাফীর সিলেট দলে খেলতে এসেছেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফান। দলীয় সূত্রে খবর, তিনি খেলবেন টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের নবম আসরের শেষপর্ব শুরু হবে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ১৬ ফেব্রুয়ারি।