ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বায়ার্নের জার্সিতে গোল করে অভিষেকটাকে বর্ণিল করেছেন সেনেগাল তারকা সাদিও মানে। যার রেশ এখনো কাটেনি। এরইমধ্যে নতুন খবর পেল মানে ভক্তরা। গত মৌসুমটা দারুণ কাটিয়ে আসা মানে এখনো পাচ্ছেন তার উপহার। টানা দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকান বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন ৩০ বর্ষী।
ডিসির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে কনফেডারেশন অফ আফ্রিকান ফুটবল ২০২২ অ্যাওয়ার্ডের আমন্ত্রণ পেয়ে মরক্কোর রাবাতের উদ্দেশে দীর্ঘ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। সেখানে টানা দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকার সেরা ফুটবলারের পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাকে।
এর আগে সবশেষ ২০১৯ সালে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী লিভারপুল দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মানে। লিভারপুলকে শিরোপা জিতানোর কৃতিত্ব স্বরূপ প্রথমবারের মতো আফ্রিকার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত করা হয় মানেকে। এরপর করোনা মহামারীর কারণে মাঝে দুই বছর দেওয়া হয়নি পুরস্কার।
সবশেষ মৌসুমেও লিভারপুলের জার্সিতে প্রতিভার সাক্ষর রেখেছিলেন মানে। লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতাতে না পারলেও কারবাও কাপ ও এফএ কাপ জিতিয়েছেন। প্রিমিয়ার লিগেও ম্যানচেস্টার সিটির সাথে সমান তালে লড়েছেন। তবে সব ছাপিয়ে সেনেগালকে আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস জেতানোয় মানেকে আফ্রিকার সেরা ফুটবলার হিসেবে বেছে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আয়োজক কমিটির।
দশম ফুটবলার হিসেবে টানা দু’বার ‘সিএআফ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জেতা ফুটবলার এখন মানে। চলতি মৌসুমে তাকে লেভান্ডোভস্কির আসনে বসিয়েছে বাভারিয়ানরা। সেখানে যোগ দেওয়ার পরপরই জিতলেন গৌরবের এই পুরস্কার। যার জন্য বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট অলিভার কান তাকে সম্মান জানিয়েছেন।
‘এটি আমাদের ক্লাবের জন্য একটি বিশেষ সম্মানের। আমরা খুব গর্বিত কেননা মানে এখন আমাদের ক্লাবে রয়েছে। তাকে ঘিরে আমাদের অনেক বড় লক্ষ্য রয়েছে।’
গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ৩৪ ম্যাচে ১৬ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসরে ১৩ ম্যাচে ৫ গোল ও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মানের গোল সংখ্যাটা ৫১ ম্যাচে ২৩। যা তাকে এই পুরস্কার জিততে সাহায্য করেছে। পুরস্কার জিতে সম্মানিত মানে তা উৎসর্গ করেছেন সেনেগালের যুবকদের।
‘আমি এই পুরস্কারটি সেনেগালের যুবকদের উৎসর্গ করছি। আজ আমি খুব আবেগপ্রবণ। আমার অনুভূতি প্রকাশ করার মতো শব্দ নেই!’