গ্রীষ্মে বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়ছেন, ইদানীং দলবদলের কথা এভাবেই প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন রবার্ট লেভান্ডোভস্কি। বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছেন না জার্মান জায়ান্টদের সভাপতি হার্বার্ট হাইনার। চুক্তি থাকা অবস্থায় পোলিশ স্ট্রাইকারের ঢালাওভাবে এসব কথা বলাকে তিনি দেখছেন চুক্তির অসম্মানরূপে।
বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আরও একবছরের চুক্তি বাকি ৩৩ বর্ষী তারকার। এদিকে এই জুনেই ক্লাব ছাড়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ লেভান্ডোভস্কি। বার্সেলোনাসহ বেশকিছু ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন বলে খবর। পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন নিজেই।
লেভার চুক্তির বিষয়টি মনে করিয়ে হার্বার্ট বলেছেন, ‘আমরা সবসময় বলে আসছি, ৩০ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত বায়ার্নের সঙ্গে রবার্ট লেভান্ডোভস্কির একটি চুক্তি আছে এবং চুক্তি সবসময় একটি চুক্তি!’
‘আমরা কী করব, যদি একজন খেলোয়াড় তার চুক্তি আগেভাগে শেষ করে দেন, তখন ক্লাব হিসেবে তাকে চুক্তির শেষদিন পর্যন্ত পুরো টাকা পরিশোধ করবেন? এটা ঠিক না, এটা এমন হতে পারে না।’
পোলিশ তারকার দল ছাড়ার বিষয়ে একটি শর্ত রেখেছিল বাভারিয়ান ক্লাবটি। যদি তারা নিজেদের স্ট্রাইকার ঘাটতি মেটাতে পারে, তাহলে লেভার আগেভাগে দল ছাড়াকে সম্মান করবে ক্লাব। জার্মান জায়ান্টরা লিভারপুলের সাদিও মানেকে টেনে সেই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করছে, এমন খবরও আসছে। কদিন আগে লেভা অভিযোগ করেছেন তার সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর ব্যাপারে অবহেলা করেছে বায়ার্ন।
চুক্তির ব্যাপারে অভিযোগ নয়, হার্বার্টের কাছে ৩৩ বর্ষী তারকার প্রকাশ্যে ঢাকঢোল পেটানোর ব্যাপারটি পছন্দ হয়নি, ‘রবার্ট চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জনসম্মুখে নিচ্ছে দেখে কিছুটা বিস্মিত। তার জায়গায় আমি হলে কখনোই এটি করতাম না। তিনি বায়ার্নের হয়ে দীর্ঘসময় খেলেছেন, আমাদের অনেক শিরোপা এনে দিয়েছেন।’
এতকিছু হওয়ার পরও বায়ার্ন মালিক আশাবাদী লেভান্ডোভস্কির চুক্তি শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত অর্থাৎ, আগামী মৌসুমেও ক্লাবের হয়ে খেলবেন, ‘সৌভাগ্যের জায়গা হচ্ছে আমাদের কোনো আর্থিক সমস্যা নেই। আমরা সেরা খেলোয়াড়কে নিতে চাই এবং রবার্ট তাদের অন্যতম। এ কারণেই আমি দৃঢ়প্রত্যয়ী তিনি আসছে মৌসুমেও আমাদের হয়ে খেলবেন।’
২০১৪ সালে ৫০ মিলিয়ন ইউরোতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ছেড়ে বায়ার্নে যোগ দেন লেভান্ডোভস্কি। মিউনিখে ৮ বছরের ক্যারিয়ারে প্রত্যেক মৌসুমে জিতেছেন বুন্দেসলিগা শিরোপা। একটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও জার্মান কাপ জিতেছেন। সদ্যগত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে করেছেন ৫০ গোল, ছিল ৭টি এসিস্টও। বুন্দেসলিগায় ৩৪ ম্যাচে ৩৫ গোল করে শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন।