টেস্টে ইংল্যান্ডের স্টোকস-ম্যাককালাম যুগের শুরুটা হয়েছে ভিন্ন এক রূপে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে বাজপাখির মতো প্রতিপক্ষের নাকের ডগায় থাকা ম্যাচ ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে ‘বাজবল’ ডাকা হচ্ছে। নিউজিল্যান্ড-ভারতের হারের পর ইংলিশ লায়ন্সদের বিপক্ষে সাদা পোশাকে সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচেই বাজবল ক্রিকেটের মুখে পড়েছে সাউথ আফ্রিকা। প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারের অবশ্য মত, নতুন স্টাইলটা আকর্ষণীয় হলেও বুমেরাং হয়ে দাঁড়াতে পারে ইংলিশদের জন্য।
প্রস্তুতি ম্যাচে প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে ৪৩৩ রানে আটকে ৫.৭৪ গড়ে ৬৭২ রান তুলেছে ইংলিশরা। হ্যারি ব্রুকের ১৭০ বলে ১৪০ রানের পর বেন ডাকেন বাড়িয়েছেন প্রোটিয়া-দুর্দশা। ১৬৮ বলে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন ২০১৯ সালে শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামা ডাকেন।
অন্যদিকে ৯৬ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক স্যাম বিলিংস। বাকি ব্যাটারাও রান পেয়েছেন। পূর্ণশক্তির ইংলিশ দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে যা ভয়ের কারণ প্রোটিয়া অধিনায়কের। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অধীনে ইংল্যান্ডের রোমাঞ্চ-সন্ধানী স্টাইল বিব্রতকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলেও মনে করেন এলগার।
‘ইংল্যান্ডের নতুন স্টাইলটা বেশ আকর্ষণীয়। কিন্তু সাহসী ক্রিকেটে দীর্ঘায়ু দেখতে পাচ্ছি না আমি। কারণ, সময়ের সাথে টেস্ট ক্রিকেটে সন্ধ্যা দেখতে পাচ্ছি। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রায়ই সমতা ছিল। নিউজিল্যান্ড যদি সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারত, বিশেষ করে ক্যাচ, ম্যাচটি আলাদা হতে পারত। সুযোগে ইংল্যান্ড তাদের মুখে ডিম ছুঁড়তে পেরেছে।’
১৭ আগস্ট লর্ডসে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ইংলিশদের মুখোমুখি হবে প্রোটিয়া দল। তার আগেই তারা আঁচ করতে পারল তরুণ ইংলিশদের ঝাঁঝ। তরুণদের এমন দাপুটে ব্যাটিংয়ের কারণও অবশ্য ম্যাককালাম। তরুণদের সাথে ম্যাচের আগে দেখা করেছেন তিনি। যেখানে লায়ন্স ক্রিকেটারদের একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন টেস্ট কোচ। সবশেষ চার ম্যাচে ইংলিশদের ২৭০ রানের বেশি তাড়া করা ম্যাচগুলো অনুসরণ করতে বলা হয়েছে তরুণদের। সেই বার্তায় তরুণরা যে যথেষ্ট উত্সাহিত হয়েছে, তাদের রান তোলার গতিতেই তা পরিষ্কার।
প্রোটিয়া বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ের পর কিছুটা লাগাম টেনে ধরেন এইডেন মার্করাম। ৯১ রান খরচায় ৬ উইকেট তুলেছেন তিনি। লায়ন্সদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তিনি অবাকও হচ্ছেন না।
‘তারা এই উইকেটে ভালো খেলেছে। স্বাধীনতা নিয়ে খেলার অধিকার পেয়েছে। আমরা জানি মৌসুমজুড়ে একইরকম হবে। আমরা কিছু খারাপ বল করেছি, যেগুলো পুঁজি করে তারা ভালো শট খেলেছে। তাদের টেস্ট দল গত কিছুদিন অন্য ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলছে এবং সত্যিই ভালো করছে। তবে এরকম চাপের মধ্যে থেকে ছেলেরা যেভাবে সাড়া দিয়েছে, দেখে ভালো লেগেছে।’