১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনার অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে খেলতে স্পেনে পা রাখেন লিওনেল মেসি। অর্থনৈতিক বাজে অবস্থার কারণে গতবছর তার সাথে চুক্তি বাড়াতে পারেনি ক্লাবটি। শেষ হয়ে যায় কাতালানদের সাথে ২০ বছরের সম্পর্ক। সেই ঘটনার একবছর পেরিয়ে গেলেও আক্ষেপ একটুও কমেনি ৩৪ বর্ষী আর্জেন্টাইন মহাতারকার।
‘কঠিন একটি বছর ছিল এটা। মানিয়ে নেয়াটা একদমই সহজ ছিল না। সারাজীবন একটা জায়গায় থেকে এই বয়সে পরিবর্তন করা খুব কঠিন ব্যাপার। যখন প্রথমবার বার্সেলোনায় গিয়েছি, তখন ছোট ছিলাম। এই বয়সে স্থানান্তরিত হতে চাচ্ছিলাম না। কখনো বার্সা ছাড়ার কথা কল্পনাও করিনি।’
দীর্ঘদিনের আবাসস্থল বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা কখনো কল্পনাও করেননি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড, সাক্ষাৎকারে সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন আবারও। সঙ্গে প্যারিসে নিজের প্রথম দিকের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেছেন।
‘এখানে আমাকে নতুন খেলার ধরনের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হয়েছে। আগে সারাজীবন এক ঘরানার খেলায় অভ্যস্ত ছিলাম। নতুন একটা জায়গাতে আসাও ছিল অন্যরকম। ফুটবলকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা, নতুন সতীর্থ; সহজ ছিল না, সবকিছুই আমার জন্য নতুন ছিল।’
‘সৌভাগ্যক্রমে বাচ্চাদের এখানে মানিয়ে নেয়ার বিষয়টা ছিল দারুণ। আমার ও আন্তোনেল্লার জন্য বেশি কঠিন ছিল। মনে পড়ে, প্রথম যেদিন ওদের স্কুলে নিয়ে গেলাম, স্কুল থেকে বেরিয়ে আমি আর আন্তোনেলা কেঁদেছিলাম। ভয়ঙ্কর ব্যাপার ছিল। পরস্পরকে বলছিলাম, এখানে কী করছি আমরা, কী হয়ে গেল!’
২০০৬ সালে বার্সেলোনা ‘বি’ টিম থেকে মূল দলে সুযোগ পান মেসি। পরে টানা ১৫ বছর খেলেছেন ন্যু ক্যাম্পে। তার ১৬ বছরের আমলে বার্সা লা-লিগা জিতেছে ১০ বার। কাতালানদের ইউরোপসেরার ট্রফিও জিতিয়েছেন ৪ বার। ক্লাবটির হয়ে ৭৭৭ ম্যাচে ৬৭২ গোল ও ৩০৬টি অ্যাসিস্ট আছে সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর।