সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম(বার)।
এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর রিয়াদস্থ বাংলাদেশি অভিবাসীরা ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম(বার) বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙ্গালির মুক্তিসংগ্রামের ও তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সীমাহীন সাহস ও ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। নিজের দুই সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পুত্র, পুত্রবধূ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন বঙ্গমাতা। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর ত্যাগ, আদর্শ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত দেশ ও জাতির প্রতি বঙ্গমাতার অবদানকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ অভিবাসীদের মধ্যে ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, জাকির হোসেন ও মোঃ আব্দুস সালাম বঙ্গমাতার জীবনের ওপর বক্তব্য প্রদান করেন। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার জীবনীর ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া দেশ ও জাতির সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দয়া করা হয়।