প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদের ঘূর্ণির সামনে অসহায় হয়ে পড়েছেন নিকোলাস পুরান-রোভম্যান পাওয়েলের মতো ব্যাটাররা। ধুঁকতে ধুঁকতে ১০৮ রানের বেশি করতে পারেনি উইন্ডিজ।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বুধবার টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে টাইগারদের ১০৯ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে উইন্ডিজ। প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকা টাইগাররা এবার জিতলেই তিন ওয়ানডের সিরিজ আগেভাগে দখলে নেবে।
ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন আগেরদিনের মতো শুরুতে ভুল করছিলেন না উইন্ডিজ ওপেনারদ্বয়। শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন কাইল মেয়ার্স ও শাই হোপ।
পঞ্চম ওভারে প্রথমবার সুযোগ আসে বাংলাদেশের। মেহেদী হাসান মিরাজের একই বলে কট বিহাইন্ড ও স্টাম্পিংয়ের সুযোগ পান নুরুল হাসান সোহান। কোনটাই কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক।
অষ্টম ওভারের শেষ বলে নাসুমের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন হোপ। আম্পায়ার আউটের ইশারা করলে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ডানহাতি ব্যাটার। কোনো উইকেট না হারিয়েও প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান তুলতে পারে উইন্ডিজ।
একাদশ ওভারে প্রথম সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে আঘাত হানেন মোসাদ্দেক হোসেন। ১৭ রান করা মেয়ার্সকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান অফস্পিনার।
বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি শামারাহ ব্রুকসও। নাসুমের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৫ রান করে। নাসুম পরে সময়ের সাথে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। ৪৫ বলে ১৮ রান করা শাই হোপকে ফেরান বোল্ড করে। অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে শূন্য রানে বোল্ড করেন।
১৩ রান করা রোভম্যান পাওয়েল শরিফুলের দারুণ এক ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ দেন। পরের ওভারে কিং আউট হন মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে। ৪৪ বলে ১১ রান করেছেন ডানহাতি ব্যাটার।
পাওয়েলের বিদায়ের পরের বলে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আকিল হোসেন। সিরিজের দুই ম্যাচেই রানআউটে কাটা পড়লেন বাঁহাতি স্পিনার।
৩১তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। পরপর দুই বলে উইকেট তুলে নেন টাইগার অফস্পিনার। ওভারের তৃতীয় বলে রোমারিও শেফার্ডকে বোল্ড করে পরের বলে আলঝারি জোসেফকে সোহানের ক্যাচ বানান।
শেষে গুডাকেশ মটিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে স্বাগতিক কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন মিরাজ। ৮ নম্বরে নেমে ২৪ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন কিমো পল, যা উইন্ডিজের সর্বোচ্চ ইনিংস।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩টি উইকেট নিয়েছেন গত ম্যাচে অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।