এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করবে। স্মার্ট কৃষি, অভিযোজনে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি বিনিময়সহ টেকসই উন্নয়নে সার্বিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আজ বুধবার (১৫ মে) পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা উঠে এসেছে বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, বৈঠকে নাসার দেওয়া আবহাওয়ার তথ্য বিনামূল্যে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। হিমালয়ের বরফ গলে যাওয়া, বন উজাড় হওয়া, সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়া, দূষণসহ বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে নাসার কাছ থেকে। নাসার স্যাটেলাইট যখন দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে কাজ শুরু করবে তখন বিনামূল্যে বা কম মূল্যে হয়তো স্যাটেলাইটের তথ্য রিয়েল টাইম পাবো।
তিনি বলেন, জলবায়ু, পরিবেশ বিষয়ে সহযোগিতাকে একটা কাঠামোর ভেতর আনতে চাই। জলবায়ু ইস্যুতে শুধু আর্থিক নয়, প্রযুক্তির উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেছি। জলবায়ু, পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন-এর ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতায় বর্তমান সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই দুই দেশের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, পৃথিবীর দশটা নদীর মধ্যে বাংলাদেশের দুটো নদী প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণের জন্য দায়ী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কীভাবে আরও এগিয়ে নিতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে হয়তো তাদের একটা অস্বস্তি ছিল। তাদের একটা অবস্থান ছিল। এখন আর নেই। আমাদের তো ছিলনা। এসব রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক শেষে জানান ডোনাল্ড লু।