গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অবসর ভেঙে তামিম জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপে খেলবেন। কিন্তু নানা কারণে বিশ্বকাপের দলে নেই ৩৪ বর্ষী ওপেনার। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই আলোচনার পর তামিমের বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়ে কোনো নতুন কথারই প্রয়োজন ছিল না।
মাশরাফীর মতে, দলের সঙ্গে ভারত গিয়ে যদি কোনো সমস্যা হতো তখন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যেত। এমনকি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়িয়ে যাওয়ার পর, সেই বিষয়টি নিয়ে তামিমকেও আর বিরক্ত করার প্রয়োজন ছিল না যে কোথায় খেলবেন, কয় নম্বরে খেলবেন। বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ওভাবে হয়ে যাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে টিম টাইগার্সদের নেতৃত্ব দেয়া ম্যাশ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় ৩৯ বর্ষী মাশরাফী বলেছেন, ‘বোর্ডের কেউ না কেউ তামিমের সঙ্গে কথা বলেছে। একপর্যায়ে তামিম হয়ত কিছুটা উত্তেজিত হয়ে যায়। এবং সে দলে থাকতে চায়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে এটি ছিল তামিমের ভুল সিদ্ধান্ত।’
‘তামিম হয়তো উত্তেজিত হয়ে তাকে দলে না রাখতে বলেছে। কিন্তু তার ভিত্তিতে তাকে না রাখাটা আসলে কেমন হল? দ্বিতীয়ত, তামিমকে যেটা বলা হয়েছে যে প্রথম ম্যাচটা খেলো না বা খেললেও নিচে ব্যাটিং করো, এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডের কারও বলার বিষয় না। এটা বলবে কোচ, অধিনায়ক এবং দলের সঙ্গে যাওয়া নির্বাচক, মূলত টিম ম্যানেজমেন্ট। টিম ম্যানেজমেন্ট বললে বাংলাদেশ থেকেও বলতে পারে, দল ঘোষণার পর ভারতে গিয়েও বলতে পারে। সেটা এত আগে করার কারণ কী, আমি জানি না।’
তামিমের ব্যাপারে মাশরাফী বলেছেন, ‘‘তামিম পরিষ্কারভাবে বুঝেশুনে অবসরে গেছে। তারপরে কী হল। এরপর বোর্ড থেকে যোগাযোগ করতে পারছিল না। কারণ এখনই তামিমের অবসরে যাওয়ার দরকার নাই। সেখান থেকে একপর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জিনিসটা গড়িয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী তামিমকে ডেকে অনেকক্ষণ কথা বলেন। প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টার মতো এবং শেষমেশ যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন তামিম যেন বিশ্বকাপে খেলে। তামিমকে যে আদেশটা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তামিমও পরে মিডিয়ায় এসে সংবাদ সম্মেলনে বলেছে যে, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে খেলতে বলেছেন। এরপরে আর কোনো কথা নেই। আমি অবশ্যই খেলব।’’
‘যে জিনিসটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়াল, সেই জিনিস নিয়ে আমার কাছে মনে হয় না এরপরে আর আলোচনার প্রয়োজন ছিল। যদি দলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, সেটি কোচ, অধিনায়ক বা টিম ম্যানেজমেন্ট ভারতে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিত বা যেটা করার সেটা করত।’