বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের ঝালিয়ে নেয়ার আসর এশিয়া কাপের মঞ্চে। আসরে মোটেও ভালো কাটছে না সাকিব আল হাসানের দল। গ্রুপপর্বে নড়বড়ে শুরুর পর আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সুপার ফোরে এসে দেখা মিলেছে শুরুর বিবর্ণ পারফরম্যান্সের। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে শনিবার শ্রীলঙ্কা পরীক্ষা সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশের।
সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বেলা সাড়ে ৩টায় নামবে বাংলাদেশ। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো নেই কোনো রিজার্ভ ডে। বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই, আর দাসুন শানাকাদের সুপার ফোরে এটি প্রথম ম্যাচ। রেকর্ড ১৩তম জয়ের খোঁজে নামবে লঙ্কাবাহিনী।
গ্রুপপর্বে পাল্লেকেলেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৫ উইকেটের বড় হার দিয়ে আসর শুরু করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। দল অলআউট হয়েছিল মাত্র ১৬৪ রান। সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করা নাজমুল হোসেন শান্ত পরের ম্যাচে শতক করে হ্যামস্ট্রিং চোটে দেশে ফিরে এসেছেন। টপঅর্ডারে টানা রান নেই নাঈম শেখ, তাওহিদ হৃদয়দের। সাকিব-মুশফিক পাকিস্তানের বিপক্ষে পরে রান পেলেও ইনিংস টানতে পারেননি।
দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো করে রানরেটে সুপার ফোর নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। শান্ত ও মিরাজ সেঞ্চুরি করেন। পরে সুপারপর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেই হারায় টিম টাইগার্স। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের মধ্যে টপঅর্ডারের সেরা ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে। মাঝে সাকিব-মুশফিক জুটি বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখালেও ১৯৩ রানে অলআউট হয় দল।
এই ব্যাটিংই যত দুশ্চিন্তার কারণ এখন। অধিনায়ক সাকিব বিবর্ণ শুরুর ব্যাখ্যায় সেদিন বলেছেন, ‘আমরা শুরুতে দ্রুত উইকেট হারিয়েছি, অগোছালো কিছু শট খেলেছি। এমন পিচে প্রথম দশ ওভারে চার উইকেট হারানো অনুচিত, তবে এটি ঘটে। আমাদের পার্টনারশিপ (সাকিব-মুশফিক) ভালো ছিল। আমি মনে করি, আরও আমাদের আরও ৭-৮ ওভার ব্যাট করা দরকার ছিল।’
দুর্দশাগ্রস্ত ব্যাটিংয়ের বিপরীতে উজ্জ্বল বাংলাদেশের বোলাররা, তাসকিন-শরিফুল-হাসান দারুণ পেস আক্রমণ করছেন। সাথে যোগ দিয়ে স্পিনে উইকেট তুলে নিচ্ছেন সাকিব-মিরাজ। প্রতিটি ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে উইকেট তুলে নেয়া দুই পেসার তাসকিন-শরিফুল মোট ১১ উইকেট তুলেছেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটের সাথে বলেও সামনে আসছেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তুলে নিচ্ছেন উইকেট।
কিন্তু মাথাব্যথার কারণ- ব্যাটিংয়ে একসাথে জ্বলে উঠতে পারছেন না কয়েকজন। তাতে অধারাবাহিকতা ভোগাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি কাটিয়ে উঠতে না পারলে ভারত ম্যাচের আগেই টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের।