বিশ্বের যেসব দেশে সরকার গত বছর ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৫ নম্বরে।
নিউইয়র্কভিত্তিক ডিজিটাল রাইটস নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাক্সেস নাও’ এর এক প্রতিবেদন থেকে এতথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২২ সালে বাংলাদেশ সরকার মোট ছয়বার ইন্টারনেট বন্ধ করেছে এবং বিরোধী দল বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির সময়ে ‘নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার’ হিসেবে তা করা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত বিএনপির গণসমাবেশের আগে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ বা গতি কমিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। যদিও সরকার বলছে, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে সরকারি নির্দেশনায় ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা ঘটেনি।
গত বছর বিশ্বের ৩৫ দেশে সরকারিভাবে রেকর্ড ১৮৭ বার ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৩৩টি দেশে ২০১৬ সাল থেকে এই ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটছে।
তালিকার এক নম্বরে আছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। মোদী সরকার মোট ৮৪ বার ইন্টারনেট বন্ধ করেছে, যার মধ্যে কাশ্মীরেই করেছে ৪৯ বার। ২য় স্থানে রয়েছে যুদ্ধকবলিত ইউক্রেন, তিনে ইরান ও মিয়ানমারের অবস্থান চতুর্থ নম্বরে।
এই প্রতিবেদনটি এমন সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সময় ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবেই, এটা কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না। তাই পরীক্ষার্থীদের দ্রুত প্রশ্ন পাওয়া এড়াতে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিতে হবে।