মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ এবং আন্তরিকতা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। বাংলাদেশ সবসময় স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সমর্থনের পাশাপাশি ইসরায়েলের অবৈধভাবে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখলের অবসান দাবি করে আসছে। বন্ধুপ্রতিম দুই রাষ্ট্র এবার ফুটবল মাঠে মুখোমুখি লড়াইয়ের অপেক্ষায়।
ফুটবল মাঠে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন আগেও মুখোমুখি হয়েছে। পাঁচবারের দেখায় সবকটিতে হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। হজম করেছে ৯ গোল।
দুদেশের বন্ধুত্বের ইতিহাসটা পুরনো হলেও একবিংশ শতাব্দীতে এসে তারা প্রথমবার কোনো আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হয়। এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে প্রথম দেখায় ফিলিস্তিন ২-০ গোলে জয় পায়। দিনটি ছিল ২০১১ সালের ২১ মার্চ। কাকতালীয়ভাবে আবারও ২১ মার্চই জাবের আল-আহমদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে লড়বে দুদল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায়) শুরু হবে ম্যাচ। এরপর ফিলিস্তিনের সঙ্গে ২৬ মার্চ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হোম ম্যাচ খেলবে জামাল ভূঁইয়ার দল।
২০১৩ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। সেবার বাংলাদেশ একমাত্র গোলে হারে। গোলশূন্যভাবে শেষ হয়েছিল প্রথমার্ধ।
বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু কাপে সেমিফাইনালে ২-০ গোলে জয় পায় ফিলিস্তিন। দুবছর পর একই আসরে আবারও দুই গোলে হারে বাংলাদেশ। শেষবার বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন লড়াই হয়েছিল ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের স্কোরলাইন ২-০ ছিল।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে চোখ রাখলে অবশ্য দুদলের পার্থক্যটা স্পষ্ট বোঝা যায়। বাংলাদেশ ১৮৩তম স্থানে রয়েছে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ ফুটবলের বাছাইয়ে প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিনের অবস্থান ৯৭তম। তাই রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলার ছক কষে প্রতিপক্ষকে রুখে দেয়ার পরিকল্পনায় টিম টাইগার্স। পাল্টা আক্রমণে সফল হয়ে হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের অভাবনীয় জয়ের বাসনাও রয়েছে!