টি-টুয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেও ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেলো বাংলাদেশ মেয়েরা। সফরকারীদের স্পিন ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত টাইগ্রেসদের ব্যাটিং লাইনআপ। লড়াই করার মতো পর্যাপ্ত পুঁজি পায়নি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। স্বাগতিকদের দেয়া ৮২ রানের লক্ষ্য সহজেই পৌঁছে যায় পাকিস্তান। টাইগ্রেসদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জয় পায় সফরকারীরা।
মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো করতে পারেননি বাংলার মেয়েরা। অষ্টম ওভারে ওপেনার শামীমা সুলতানাকে ফেরান স্পিনার সাদিয়া ইকবাল। দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ প্রথম দশ ওভারে ১৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় লাল-সবুজের দল।
দলীয় ২৫ রানে ফিরে যান স্বর্ণা আক্তার। অধিনায়ক জ্যেতিকে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন ফাহিমা খাতুন। তবে ব্যক্তিগত ১৪ রান করে ফেরেন অধিনায়ক। পরে ঋতু মনিকে নিয়ে এগোতে থাকলেও ব্যর্থ হন ফাহিমা, ১৮ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন।
ঋতু মনিও দলের হাল ধরতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। একের পর এক উইকেটের পতনে গড়েনি কোনো জুটি। শেষ পর্যন্ত ৩১.৫ ওভারে মাত্র ৮১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। টাইগ্রেসদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন ফাহিমা।
অল্প পুঁজি নিয়েও অবশ্য বল হাতে শুরুটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ। দলীয় ২৭ রানে পাকিস্তানের তিন টপ অর্ডারের তুলে নেন বাংলার মেয়েরা। ওপেনার সিদ্রা আমিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাহিদা। আরেক ওপেনার সাদাফ শামসকে রানআউট করেন স্বর্ণা আক্তার। বিসমাহ মারুফের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ ফিরেছিল টিম টাইগ্রেস।
দলীয় ৪২ রানে মুবিনা আলীকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন ফাহিমা। তবে আলিয়া রিয়াজকে নিয়ে অধিনায়ক নাদিয়ার ২৮ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে পাকিস্তান। দলীয় ৭০ রানে আলিয়াকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন নাহিদা। তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। নাজিহা আলভিকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন নাদিয়া।
পাকিস্তানের পক্ষে ৫৯ বলে ৩ চারে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক নাদিয়া। এছাড়া আলিয়া করেন ১৬ রান। বোলিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ৩০ রানের খরচায় ৩ উইকেট নেন নাহিদা।